ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রী হল আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৬টি বাস সার্ভিস দেয়। তবে সেই বাসে জায়গা হয়নি অধিকাংশ শিক্ষার্থীর। অনেক বাস ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়েই ক্যাম্পাস ছাড়ে।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি বাসের প্রবেশমুখে লম্বা সারি। আসনের তুলনায় বেশি শিক্ষার্থী ওঠায় অনেকে ক্যাম্পাসে এসে বাসে উঠতে পারেনি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থেকেও সিট না পেয়ে ফিরে যায় অসংখ্য শিক্ষার্থী।
কেউ কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে জায়গা না পেয়ে নিজস্ব খরচে দূরপাল্লার বাসের টিকিট কেটে বাড়ি যেতে দেখা যায়।
খুলনাগামী রাশেদুজ্জামান রাশেদ নামের এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, খুলনা বিভাগের ২ নং রুটের রজতরেখা বাসে তীব্র গাদাগাদি। এভাবে গাদাগাদি করে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। আমাদের বাসের চালক নিজেই বাস থেকে নেমে চলে গিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিতে সাতটি বিভাগে ১৬টি বাস বরাদ্দ করা হয়। বাসগুলো রংপুর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, সিলেট বিভাগের বিভিন্ন রুটে যাচ্ছে।
বাস না পাওয়া ২০২১-২২ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমার বাড়ি রাজশাহী। আমাদের বিভাগীয় শহরের জন্য ২টি বাস- পদ্মা, উত্তরণ-২ বরাদ্দ ছিল। কিন্তু অর্ধেক শিক্ষার্থীই যেতে পারেনি। বাসের সিট বরাদ্দে মেয়েদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। সবাই আশা নিয়ে এসেছে, কিন্তু বেশির ভাগই জায়গা পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও কিছু বাস দিলে ভালো হতো।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে পরিবহন পরিচালক ড. তারেক বিন আতিক সরাসরি বলেন, বিভিন্ন রুটে মোট ১৬টি বাস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো বাস দেওয়ার সক্ষমতা প্রশাসনের নেই। বাড়ি যেতে ইচ্ছুক সব শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ কমানোই ছিল আমাদের প্রচেষ্টা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে নিজস্ব অর্থায়নে দূরপাল্লার বাসের ব্যবস্থা করে জবি শাখা ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জন্য দুটি বাস বরাদ্দের ঘোষণা দেন। অন্যদিকে ছাত্রশিবির ৭টি বিভাগীয় শহরে ৭টি বাসের উদ্যোগ নেয়।
জবি শাখা শিবিরের সভাপতি, জকসু ভিপি প্রার্থী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, অনেক শিক্ষার্থী যেতে পারছে না এবং বাসগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাত্রা করতে বাধ্য হচ্ছে—এ বিবেচনায় আমরা বাস ম্যানেজ করেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও অনুমতি পাইনি।
এ বিষয়ে জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান বলেন, বাস সার্ভিস দেওয়ার অনুমতি আমরা দেব না। একটি রাজনৈতিক সংগঠন, যারা জকসু নির্বাচনে প্যানেল দিয়েছে। তাদের এ ধরনের উদ্যোগ আমরা অ্যালাউ করি না।
বিডি প্রতিদিন/আশিক