মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা প্রাপ্তি থেকে জনগণ বঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিকা প্রাপ্তি থেকে জনগণ বঞ্চিত

সরকারের ‘ভুল সিদ্ধান্তের’ কারণেই জনগণ টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এত বড় একটা বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে সরকার ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে জনগণ আজ টিকা পাচ্ছে না। জনগণ আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা একটা অপরাধমূলক কাজ। এ অপরাধমূলক কাজের জন্য সরকারকে ভবিষ্যতে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। গতকাল দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আমাদের কথার কোনো কর্ণপাতই করেনি সরকার। শুধু ভারত থেকে ভ্যাকসিন না নিয়ে এসে একই সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যবস্থা নেওয়া। শুধু ভারতের কাছ থেকে একজন ব্যক্তিকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিনের যে ব্যবস্থা করেছিল সে ব্যবস্থা একদম ভেঙে পড়েছে। এখন নতুন করে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এটা সংগ্রহ করতেও তো লেগে যাবে চার থেকে ছয় মাস। আজ থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছেন, এটা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে। প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করার মানেই হলো টিকা আর নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, ২৪ এপ্রিল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চালের মজুদ তলানিতে নেমে যাওয়া এবং ভারত থেকে ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত বলে সভা মনে করে।

ভ্যাকসিনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে অবিলম্বে মূল্য পরিশোধিত ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। ব্যর্থ হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিকে সরকার লেজে-গোবরে করে ফেলেছে। তারা নিজেরাও জানে না কী করবে, কী করবে না। ঢাকা শহরে কেউ বলবে না লকডাউন আছে! এটা সরকারের চরম ব্যর্থতা। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফেসবুকে ইদানীং আমার নিজের নামে ফলস ফেক অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি করে বিভিন্ন রকমের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিবার এবং বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নামেও ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে মিথ্যা সংবাদ, মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়। আমরা এটার আগেও নিন্দা জানিয়েছি, আজও নিন্দা জানাচ্ছি।’

সর্বশেষ খবর