বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যা

দুই ক্লু নিয়ে তদন্তে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের গোয়াইনঘাটে এক পরিবারের তিনজনকে জবাই ও কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে গতকাল সকালে পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে ও আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠায়। গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ দুটি ক্লু নিয়ে হত্যার তদন্ত চালাচ্ছে। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন আহত গৃহকর্তাও।

নিহতরা হলেন বিন্নাকান্দি গ্রামের হিফজুর রহমানের স্ত্রী আলিমা বেগম (৩০), তার ছেলে মিজান (১০) ও মেয়ে তানিশা (৩)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিফজুর রহমানকে (৩৫) ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে প্রতিবেশীরা হিফজুরের ঘরের সামনে যান। ভিতর থেকে গোঙানি শুনে তারা দরজায় ধাক্কা দেন। তবে ঘরের দরজা খোলা ছিল। ভিতরে ঢুকে খাটে তিনজনের জবাই করা ও কোপানো লাশ এবং হিফজুরকে রক্তাক্ত দেখে পুলিশে খবর দেন। গোয়াইনঘাট থানার এসআই মহসিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে এবং হিফজুরকে হাসপাতালে পাঠায়। হিফজুরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দায়ের কোপ ছিল। স্বজনরা জানান, হিফজুরের পৈতৃক বাড়ি একই ইউনিয়নের গোসাইনপুর গ্রামে। অনেক বছর ধরে তিনি মামাবাড়ি বিন্নাকান্দিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। হিফজুর সজ্জন মানুষ। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। তার কোনো শত্রু ছিল বলে জানা নেই স্বজনদের। খবর পেয়ে সকালেই বিন্নাকান্দি গ্রামে ছুটে যান সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন তারা। পুলিশ সুপার জানান, হত্যার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে দুটি ক্লুকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মামাদের সঙ্গে জায়গা নিয়ে বিরোধ ও পারিবারিক কলহ। পুলিশ সুপার বলেন, পারিবারিক          কলহের জেরেও এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে। ঘরের ভিতর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হিফজুর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার কাছ থেকে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর