আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মরণযাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এভাবেই তারা পরাজিত হবে। আন্দোলনে হবে, আগামী নির্বাচনেও তাদের মরণ হবে; রাজনৈতিক মরণ। তিনি বলেন, এত লাফালাফি, এত ছোটাছুটি, এত লোটা-কম্বল, এত কাঁথা-বালিশ। সমাবেশ হলে সাত দিন ধরে সমাবেশস্থলে শুয়ে থাকে, আর পাতিলের পর পাতিল খাবার তৈরি হয়, কোথায় গেল সেই দিন। কোথায় গেল লালকার্ড? কোথায় গেল গণঅভ্যুত্থান? কোথায় গেল গণজোয়ার? গণজোয়ারে এখন ভাটার টান। তাই এটা পদযাত্রা নয়, পেছনযাত্রা। এটা পদযাত্রা নয়, মরণযাত্রা। গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর আমির কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা মহানগর-উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর-উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুল রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, সানজিদা খানম, এস এম মান্নান কচি, মেহের আফরোজ চুমকি, হাবিব হাসান এমপি প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তো এখন কথার রাজা। মির্জা ফখরুল, কাজ নেই, শুধু কথা আর কথা। শুধু কথা মালার চাতুরী। কাজ করছি, আর বাধ্য হয়ে তাদের কথার জবাব দিচ্ছি। তারা একতরফা মিথ্যাচার করবে। আমরা কি চুপচাপ বসে থাকব? আমাদের অবশ্যই জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, আজকে শান্তি সমাবেশ থেকে বলব, ডাক দিলে চলে আসবেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ আমরা ছাড়ব না। আমরা মানুষের পাশে ছিলাম, এ শীতের কষ্টেও মানুষের পাশে আছি। শীতে মানুষ কষ্টে আছে আর তারা (বিএনপি) পদযাত্রা করছে। আমরা শীতবস্ত্র দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের ৭০ বছরের ইতিহাস, মানুষের পাশে থাকার ইতিহাস। মানুষের পাশে আছি, নির্বাচনে জিতলেও আছি, নির্বাচনে হেরে গেলেও আছি। হার-জিত আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। জনগণের ইচ্ছা। জনগণ চাইলে আমরা নির্বাচিত হব। আর জনগণ না চাইলে ২০০১ সালের মতো আমরা বিদায় নেব। এটাই তো আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে তারা বাড্ডাতে, আমরা উত্তরায়। খেলা হবে! এটা না বললে জমে না। হবে তো খেলা। আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে হবে, বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে। তাদের জগাখিচুড়ি ঐক্যজোট। জগাখিচুড়ি কর্মসূচি কোনোদিনও সফল হবে না।
