দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে মামলায় ফিলিপাইনের পক্ষে রায় দিয়েছে হেগের পার্মানেন্ট কোর্ট অব অ্যারবিট্রেশন নামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। দক্ষিণ চীন সাগরজুড়ে সম্পদ কাজে লাগানোর চীনের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলাটি করেছিল ফিলিপিন্স। রায় ঘোষণার পর বেইজিং জানিয়েছে, তারা আদালতের এ রায় মানবে না। রুলিং প্রত্যাখ্যান করে বেইজিং বলেছে, এ রায় ‘ভিত্তিহীন।’ তারা রায় মেনে চলতে বাধ্য নয়।
হেগ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, চীন ফিলিপিন্সের সার্বভৌমত্বের অধিকার লঙ্ঘন করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে চীন প্রবাল দ্বীপগুলোর পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতিসাধন করেছে।
আদালতে বিষয়টি দীর্ঘদিন অমীমাংসিত থাকার পর আজ মঙ্গলবার এই রায় দেয়া হলো। সাগরের বিতর্কিত একটি অঞ্চলের দাবি নিয়ে চীনের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোসহ চীন দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে। বিতর্কিত ওই দ্বীপটি নিয়ে ইতোমধ্যে তাইওয়ান ও ফিলিপাইনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে সাম্প্রতিক বছরে চীন সরকার ওই অঞ্চলে সামরিক স্থাপনা নির্মাণ করতে শুরু করে।এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক ক্ষমতা ভরকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণকারী দেশগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলে এই রায় দেয়া হয়।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনই প্রথম দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপ এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলোর সন্ধান পেয়েছে। আর সেকারণেই এ এলাকার ওপর চীনেরই সার্বভৌমত্ব, অধিকার এবং স্বার্থ জড়িয়ে আছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ