পাকিস্তানের করাচি শহর ক্রমশ ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। ভারতীয় কোনও গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট নয়, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের একটি নামকরা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করেছে।
ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সরকারি এজেন্সি গুলির মদতেই ভারত বিরোধী জিহাদি গোষ্ঠী এবং দুষ্কৃতীরা করাচিতে নিশ্চিন্তে নিজেদের কার্যকলাপ চালাচ্ছে। লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ-দাওয়া, জৈশ-ই-মহম্মদের মতো সংস্থাগুলি ভারত বিরোধী মগজধোলাইয়ের জন্য করাচিতে বেশ কিছু মাদ্রাসাও চালাচ্ছে। আর সব কিছু জেনেও হাত গুটিয়ে বসে আছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।
ওই রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, জিহাদি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর সময়েও পাকিস্তান রেঞ্জার্স ইচ্ছাকৃতভাবে শহরের এমন অংশগুলিকে ছাড় দিয়েছে, যেখানে লস্কর, জামাতের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা যথেষ্ট সক্রিয়।
পাকিস্তানের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, সিনিয়র অফিসার, সাংবাদিক, সমাজকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার পরে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স-এর অভিযানের ভয়ে জিহাদি গোষ্ঠীগুলির অনেক বড় নেতারাই করাচি ছেড়ে পালিয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা সংস্থাগুলির অবহেলার সুযোগে তারাই আবার আরও প্রবলভাবে করাচিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকতে পারে।
পাকিস্তানের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের বিদেশনীতির ওপরে নির্ভর করেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাছাড়া পাকিস্তানে অসংখ্য বেকারদের কাছে জিহাদি গোষ্ঠীগুলিতে কাজ করাটাই জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উপায়। ফলে বেকার যুবকদেরই টার্গেট করছে পাকিস্তানের জিহাদি গোষ্ঠীগুলি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৪ এপ্রিল, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-৭