আর মাত্র মাস খানিক বাদেই ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এর মধ্য দিয়ে উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত রুহানি দ্বিতীয় দফা ভোটে লড়ার ঘোষণা দিলেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার তিনি প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আরেকবার আমি নির্বাচনে লড়ছি। ইরানের জন্য, ইসলামের জন্য, দেশের স্বাধীনতা ও স্থিতিশীলতার জন্য আমার এ লড়াই।’
২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় বসেন রুহানি। তিনি এমন এক সময় ইরানের দায়িত্ব নেন যখন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে দেশটির অর্থনীতি ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। রাজনৈতিকভাবে একটি বিচ্ছিন্ন দেশ হিসেবে ধীরে ধীরে পরিচিতি পাচ্ছে।
উদারপন্থী রুহানির নেতৃত্বে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় ইরান। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ বিশ্ব শক্তির সঙ্গে চুক্তি করতে সক্ষম হয়। উঠে যায় নিষেধাজ্ঞা, ফিরে আসতে শুরু করে বিদেশি বিনিয়োগ ও অর্থনীতির গতি। এখন আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতিতেও ভূমিকা রাখছে ইরান। গত ৪ বছরের মেয়াদকালে দেশের সামগ্রিক গতি ফেরাতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখাই রুহানির সবচে বড় অবদান বিবেচনা করা হয়।
এবার দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে তাকে লড়তে হবে দেশটির সাবেক বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে। হেভিওয়েট প্রার্থী ইব্রাহিম দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কাজেই আসছে নির্বাচনে ভোটারদের মন জয়ে এটা তার জন্য বাড়তি সমর্থন হিসেবে কাজ করবে।
অন্যদিকে প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধন করেছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনিজাদ। পশ্চিমা ও ইসরায়েল বিরোধী কট্টরপন্থী নেতা হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত তার হাত ধরেই দেশটি নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছিল।
সূত্র: আল জাজিরা