উত্তর কোরিয়া আজই যেকোনো সময় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় ওই অঞ্চলে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। এদিকে, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধের আশঙ্কা করছে চীন। তবে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের মূল কারণ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তে মনে করা হচ্ছে উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা অর্জন করছে।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার কাছে ১০০০ হাজারের বেশি বিধ্বংসী মিসাইল আছে যা আমেরিকাতেও সরাসরি আঘাত হানতে সক্ষম। এসব মিসাইল দূরপাল্লার এবং বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতাসম্পন্ন। এদিকে, পিয়ংইয়ং তার পরমাণু কর্মসূচি গত কয়েক দশকে ব্যাপকভাবে এগিয়ে নিয়েছে। ১৯৬০ এবং ৭০ এর দশকের আর্টিলারি রকেট থেকে ১৯৮০ এবং ৯০ এর দশকে স্বল্প এবং মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে সক্ষমতা অর্জন করে। এরপর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পথে দেশটি অনেকটাই এগিয়ে গেছে।
এছাড়া অতি সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া ঘোষণা দিয়েছে, তারা আন্তমহাদেশীয় ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালানোর দক্ষতা অর্জন করেছে। এর ফলে পশ্চিমা কোনো দেশে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারবে উত্তর কোরিয়া। আন্তমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রই সর্বোচ্চ দূরবর্তী ক্ষমতাসম্পন্ন মিসাইল যা ৫৫০০ কিলোমিটারের বেশি দূরপাল্লার হয়ে থাকে।
উত্তর কোরিয়ার মাঝারি মাত্রার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তা দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা জাপানে আঘাত হানতে পারে সক্ষম। ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এই তথ্য দিয়েছে। এছাড়া, দেশটির মাল্টি-স্টেজড মিসাইল শক্তিও বেশ এগিয়ে গেছে গত কয়েক দশকে। তায়পেডং-টু নামের মিসাইল অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনেক এলাকা এবং অন্যান্য দেশে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে। আর আন্তমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয় গতবছরের সেপ্টেম্বরে। পেন্টাগন মনে করে, এ ধরনের ক্ষমতাসম্পন্ন অন্তত একাধিক মিসাইল রয়েছে পিয়ংইয়ং এর হাতে।
তবে এ বছরের জানুয়ারি মাসে দেশটির নেতা কিম জং উন ঘোষণা দেন উত্তর কোরিয়া আন্তমহাদেশীয় ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রর ক্ষেত্রে 'সর্বশেষ ধাপে' রয়েছে।