পাওনাদারদের হামলায় বাবার-মা মধ্যে ঝগড়া সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হল মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বর্ধমান জেলার ক্ষীরগ্রাম এলাকায়। আত্মঘাতী ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার্থী ছিল। নাম কাকলি সাঁতরা (১৭)।
জানা যায়, ঋণ শোধ করতে না পারায় পাওনাদাররা বাড়িতে এসে কাজল সাঁতরারকে অপমান করে যায়। এই অপমানের জেরে ঝগড়া শুরু হয়ে যায় তাঁর স্ত্রী’য়ের সঙ্গে। বাবা মায়ের মধ্যে এই ঝগড়াই সহ্য করতে পারেনি কাকলি। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে সে।
মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম যোগাদ্যা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল কাকলি। মৃতের বাবা জানিয়েছেন, “আমার নিজস্ব প্রায় ১০ কাঠা জমি রয়েছে। কিন্তু এবছরে ভাগে প্রায় ১৩ বিঘে জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম। এই চাষ করতে গিয়ে বাজারে প্রায় ৯৩ হাজার টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল।” এই সঙ্গিন অবস্থায় এসে হাজির হয় কালবৈশাখী। যা তাকে আরও বিপদে ফেলে দেয়। ঝড়ে তাঁর সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি বাড়ির পাশে থাকা একটি বটগাছ তাঁর বাড়ির উপর পড়ায় একটি ঘরও ভেঙে যায়।
এদিকে, পাওনাদাররা তাঁর কাছে তাদের ঋণের টাকা চাইতে শুরু করেন। বাড়িতে এসেও তাঁরা নানান কথা শোনাতে থাকেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা চলছিল। কাকালির বাবার থেকেই জানা গিয়েছে মেয়ে তাঁদেরকে এই ঝগড়া করতে মানাও করেছিল। তাতেও অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। প্রথমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে রবিবার সকালেই তার মৃত্যু হয়। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার