শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়। বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া আহত হয়েছে অন্তত ৩ জন।
রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আউসগ্রামের পিচকুড়ি গ্রামে এ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরেই ওই এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখনও থমথমে হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। বর্ধমান-বোলপুর সড়কের কাছে পিচকুড়ির ঢাল এলাকায় ওই পার্টি অফিসে প্রচুর বোমা মজুদ করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠেছে।
তবে তৃণমূলের আউসগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি সালেক রহমানের দাবি, “আমাদের ওই দলীয় কার্যালয়ে কয়েকজন কর্মী বসে টিভি দেখছিলেন। সে সময় বাইকে চড়ে তিন-জন সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতিকারী যায়। তারা এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়ে। বোমা বিস্ফোরণে কার্যালয় ভেঙে যায়। দু’জন কর্মী আহত হয়েছেন।”
সিপিএমের বর্ধমান জেলা কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, “এলাকার সকলেই জানেন, তৃণমূল কংগ্রেসের ওই কার্যালয়ে বোমা মজুত করা ছিল। সেই বোমা ফেটে গিয়ে তিন-চার জন মারা গিয়েছে বলে শুনেছি। সেই বোমা নিয়ে তৃণমূল আমাদের কর্মীদের উপর হামলার ছক কষছিল।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, আউসগ্রামের পিচকুড়ি গ্রামে ঢোকার মুখেই তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়টি ছিল। ওই গ্রামেই বাড়ি আউসগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ টগর ওরফে সালেক রহমানের। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রবল শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ইটের গাঁথুনি অ্যাসবেসটরের চাল-সমেত ওই ঘরটি ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, তখন কয়েকজন ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। সেই সময় বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আহতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত অবশ্য তার দেহ পাওয়া যায়নি। রাতের দিকে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান। এ ঘটনায় গ্রামের লোকজন কার্যত আতঙ্কে রয়েছেন।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/ ৮ মে ২০১৭/ ই জাহান