ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বয়স ৩৯ হলেও তার স্ত্রী ব্রিজিতের বয়স ৬৪। প্রায় ২৪ বছরের ব্যবধান। স্বাভাবিকভাবেই নতুন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তার স্ত্রীকে নিয়েই বিশ্বব্যাপী আলোচনাটা হচ্ছে বেশি। সব জায়গায় যেন 'ব্রিজিত', 'ব্রিজিত' রব উঠেছে। ব্রিজিতের অতীত কী ছিল, ভবিষ্যতে তার ভূমিকা-ই বা কী হবে সে নিয়েও চলছে আলোচনা।
ব্রিজিতের পোশাক-চলাফেরা-স্টাইলে '৬৪' সংখ্যাটা খুব একটা ধরা পড়ে না। সিনিয়র সিটিজেনের তকমা পেয়ে গেলেও ব্রিজিতকে দেখতে অনেকটাই তরুণ লাগে। কীভাবে বয়স লুকান ব্রিজিত তার চুলচেরা বিশ্লেষণও হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। দাবি করা হয়েছে, ব্রিজিত এমনভাবে চুলের স্টাইল করেন যাতে বয়সের বলিরেখা খুব একটা চোখে পড়ে না। তিনি বেশিরভাগ সময়েই গলাবন্ধ পরে থাকেন। চুলগুলো কাঁধ পর্যন্ত নামানো থাকে সবসময়। এছাড়া বিশেষজ্ঞ সার্জনদের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, দেখতে যাতে বুড়ো না লাগে সেজন্য একাধিকবার সার্জারিও করেছেন ব্রিজিত!
জয় উদযাপনের সময় স্ত্রী ব্রিজিতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। আমেরিকার মতো ফ্রান্সে ফার্স্ট লেডিদের দায়িত্বের সেভাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই। ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি বদলাতে চান। কিশোর ম্যাক্রোঁকে স্কুলে মঞ্চ নাটক বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছিলেন ব্রিজিত। বিশ্ব মঞ্চেও স্বামীর জয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তার। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন স্বামীর বক্তব্য ঠিক করে দিতেন ব্রিজিত। নির্বাচনী কর্মসূচিত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও স্ত্রীকে রাষ্ট্র পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে দেখতে চান।
(ডেইলি মেইল, ইন্ডিপেনডেন্ট, বিবিসি অবলম্বনে)
বিডি প্রতিদিন/৯ মে, ২০১৭/ফারজানা