বিভিন্ন সময় ফতোয়া জারি করে সংবাদের শিরোনামে এসেছে মুসলিম সংগঠন বা নেতারা। তবে এবার দেখা গেল তাদের অন্য রূপ। ভারতীয় সেনার পাশে দাঁড়িয়ে পাক সেনাকে চরম হুমকি দিয়েছে এক মুসলিম সংগঠন। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, যে বা যারা পাক সেনার মুণ্ডচ্ছেদ করবে, তাদের পাঁচ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সম্প্রতি কৃষ্ণঘাঁটি সেক্টরে চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে পাক সেনা।
বিনা প্ররোচনায় ভারতের উদ্দেশ্যে গোলগুলি বর্ষণ তো চলছেই, পাশাপাশি দুই জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদও করা হয়েছে। ঘটনার জবাবে বেশ কয়েকটি পাক ঘাঁটি ইতিমধ্যেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। এবার এই সেনার পাশে এসে দাঁড়াল দিল্লির ‘মুসলিম যুবা আতঙ্কবাদ বিরোধী সমিতি’।
সমিতির চেয়ারম্যান মহম্মহদ শাকিল সইফি জানিয়েছেন, যিনি পাক সেনার মুণ্ডচ্ছেদ করে ভারতের হাতে তুলে দিতে পারবে তাকে সংগঠনের তরফে পাঁচ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।
ভারতীয় সেনার মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনায় দেশবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ যে প্রবল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে ফিরে এসেছে হেমরাজের স্মৃতি। সে সময় সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, এক জওয়ানের মাথার বদলে ১০ শত্রু সেনার মাথা আনা হবে। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব তো হয়নি। উল্টে ভারতীয় জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদের ঘটনা বেড়েছে বই কমেনি। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কড়া পদক্ষেপও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা বিন্দুমাত্র কমায়নি পাকিস্তান।
ভারতের বিরুদ্ধে সব ধরনের নাশকতা বজায় রেখেও আন্তর্জাতিক মহলে সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করে চলেছে প্রতিবেশী দেশটি। এই প্রেক্ষিতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি উঠেছে দেশের অভ্যন্তরে। সরব হয়েছে বিরোধীরাও। সেই একই দাবি শোনা গিয়েছে এই সংগঠনটির বার্তাতেও।
সমিতির দাবি, পাক সন্ত্রাস বন্ধ করতে আরও কঠোর হোক ভারত সরকার। আর তাই পাক জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদের ইনাম ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। কিন্তু এত টাকা আসবে কী করে?
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, সমস্ত সভ্য-সমর্থকদের চাঁদাতেই জোগাড় করা হবে টাকা। সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, মুসলিম যুবকরাও দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে তৈরি। দেশ রক্ষায় যদি সীমান্তে যেতে হয়, তবে তার জন্যও রাজি মুসলিম যুবারা। ফতোয়া সংস্কৃতির বাইরে দাঁড়িয়ে সংগঠনটির এই প্রয়াস ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে বিভিন্ন মহলের।
বিডি প্রতিদিন/ ০৯ মে ২০১৭/আরাফাত