প্যারিসে বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার ট্রাম্প তার শীর্ষ জলবায়ু ও অর্থনৈতিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। প্যারিস চুক্তি থেকে তার বেরিয়ে আসার হুমকির প্রেক্ষাপটেই তিনি এ বৈঠক করছেন।
কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার পর ট্রাম্প ২০১৫ সালের ওই চুক্তিতে থাকবেন কিনা সে ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে যাবেন বলে মনে হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা সীমিত রাখার জন্য চুক্তিটি করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি থেকে বেরিয়ে এলে তা হবে কার্বন নিঃসরণ সীমিত করার বৈশ্বিক প্রচেষ্টার ওপর বড় আঘাত। এর ফলে প্রয়াসটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খবর এএফপি’র।
অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান এই কার্বন নিঃসরণের কারণে জলবায়ু বিপজ্জনকভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।
কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে বিশ্বে চীনের পরেই যুক্তরাষ্ট্রের স্থান। এতে জলবায়ু আশঙ্কাজনকভাবে দূষিত ও উষ্ণ হয়ে পড়ছে।
চুক্তিটির ব্যাপারে ট্রাম্পের এই দোদুল্যমানতা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর। এটা ১৯৯২ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের কিয়োটো প্রটোকল থেকে সরে আসার বিষয়টিকেই মনে করিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র কিয়োটা প্রটোকল থেকে বেরিয়ে আসায় জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে দুই দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকালে ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার বিরুদ্ধে কথা বলেন।
বিডি প্রতিদিন/০৯ মে ২০১৭/এনায়েত করিম