ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ সরিফের বৈঠকের পর ভারত পাকিস্তানের ১১ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সোমবার ভারত তাদের সিদ্ধান্তের খবর নিশ্চিত করে। পাকিস্তানী বন্দীদের এই মুক্তি ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের শুভ বার্তার নির্দশন বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
জানা গেছে, পাকিস্তান সরকার ভারতের কাছে এই বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়। পাকিস্তানি সরকারের মতে, ওই ১১ জন বন্দীর ইতিমধ্যেই সাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই পাকিস্তানি সেনা আদালত ভারতীয় চর কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই দু’দেশের মধ্যে তিক্ততার সম্পর্ক শুরু হয়। ওই ঘটনার পর প্রথমবার ভারত সরকার পাকিস্তান সরকারের আবেদন মঞ্জুর করল।
সম্প্রতি কাজাকিস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিও সম্মেলনের সময় নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাত করেন মোদি। সীমান্ত পেরিয়ে চাচার সঙ্গে ভুলবশত ভারতে প্রবেশ করা দু’জন পাকিস্তানি বালককে গত সপ্তাহেই ভারত মুক্তি দিয়েছে। কিন্তু চাচা মহম্মদ শাহজাদকে ভারত নিজেদের হেফাজতে রেখে দেয়। এপ্রিলেই ওই দুই বালক আলি রেজা এবং বাবরকে মুক্তি দেওয়ার কথা ভারত সরকার ঘোষণা করলেও কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ আসার পর ভারত নিজেদের কাছেই তাদেরকে রেখে দেয়। সভারতের এই উদ্যোগের পর ইসলামাবাদও সমানভাবে পাকিস্তানের জেলে থাকা ভারতীয় বন্দীদের মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের সরকারি তথ্য মতে, পাকিস্তানের জেলে ১৩২ জন ভারতীয় বন্দী রয়েছে। যাদের মধ্যে ৫৭ জনের সাজার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। ভারত সরকার তাদের মুক্তির আবেদন করেছে পাকিস্তান সরকারকে। কিন্তু পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারত সরকার ওই বন্দীদের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করলে তবেই তাদের ছাড়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১২ জুন, ২০১৭/ আব্দুল্লাহ সিফাত-১৫