পেছনে স্ত্রী। মোটরসাইকেলে চালকের আসনে স্বামী। দ্রুত গতিতে চলছে চাকা। এভাবেই নাকি মোট ১৩ দেশে দাগ কাটবে তাদের মোটরসাইকেলের চাকা! তাদের বার্তা একটাই- বাঘ বাঁচালে বাঁচবে পরিবেশ। তাই বাঘের জন্য দুই মানুষের ‘জার্নি ফর টাইগার’। এজন্য বিশ্বভ্রমণে চলেছেন কলকাতার সল্টলেকের দম্পতি রথীন্দ্রনাথ ও গীতাঞ্জলি দাস।
জানা গেছে, একটি অটোমোবাইল সংস্থা দিয়েছে উন্নত ওই মোটরসাইকেল। ১৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে শুরু হয়েছে পথচলা। প্রতিদিন বারো থেকে চোদ্দ ঘণ্টা বাইক চালাবেন রথীন্দ্রনাথ। (ম্যাপ) দক্ষিণ ভারত ঘুরে শিলিগুড়ি গিয়েছেন তিনি। সেখান থেকে আলিপুরদুয়ারের বক্সা টাইগার রিজার্ভ ঘুরে অসম ছুঁয়ে মায়ানমার থেকে থাইল্যান্ড। এরপর মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, চিন, রাশিয়া, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ হয়ে দেশে ফিরবেন এই দম্পতি।
চিড়িয়াখানা ছাড়া বাঘ দেখেননি গীতাঞ্জলি। বিয়ের আগে বাইকেও চড়েননি কোনোদিন। ফেসবুকে রথীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রেম তার। ২০১৭ সালে বিয়ের আগে শর্ত ছিলো, মোটরসাইকে করে বিশ্বভ্রমণ করতে হবে। রথীন্দ্রনাথের শর্তে ঘাড় হেলিয়েছিলেন। তারপর পথের সাথীকে নিয়ে জার্নি শুরু। দেড় বছরে তেরোটি দেশের রাস্তায় তরতরিয়ে গড়াবে জার্নি ফর টাইগারের গতি। যে গতির প্রতি চড়াই উতরাইয়ে বেঁচে থাকার... বাঁচিয়ে রাখার গল্প লেখা।
রথীন্দ্রনাথ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বন্যপ্রাণীদের প্রতি বিশেষ টান ছিল। তাদের বাঁচিয়ে রাখার বার্তা দিতে এর আগে ৩ বার দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাইকে করে সচেতনতা প্রচার করেছি। এক সময় অসমে একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজও করেছি। এখন সফরের টানে কাজ ছেড়ে দিয়েছি। বিভিন্ন স্কুলে পড়ুয়াদের নিয়ে শিবির করেছি। ইচ্ছে ছিল স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার। সেই শর্তেই পরিচয় ও বিয়ে। তাই স্ত্রীও এবার আমার সঙ্গী।’
বিডি প্রতিদিন/০৯ মার্চ ২০১৯/আরাফাত