মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ফলে চীন-মার্কিন সামরিক সম্পর্ক এবং তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন। এরই মধ্যে ট্রাম্পকে এক প্রকার হুমকিই দিয়ে রাখলেন চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেং। ওয়াশিংটনকে সোজা নির্দেশ, তাইওয়ানের দিকে হাত বাড়িও না।
রবিবার চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ চীন সাগর ও তাইওয়ানের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোষ করবে না চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের যুদ্ধ পুরো বিশ্বের জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে।
সিঙ্গাপুরে সাংরি-লা বৈঠকে উই ফেং বলেন, কোনও রকম আগ্রাসন হলে শেষপর্যন্ত লড়াই করবে চীন। কেউ যদি চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক খারাপ করতে চায়, তবে প্রয়োজন হলে জোর করে তাইওয়ান দখল করবে চীন।
তাইওয়ানকে পবিত্র ভূমি বলে মনে করে চীন। দেশটিকে চীনের সঙ্গে পৃথক করে রেখেছে তাইওয়ান উপসাগর। এই সুযোগে তাইওয়ানকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে তার মন জয় করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। এতেই ক্ষুব্ধ চীন।
এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা সম্মেলন সাংরি লা-তে এবার প্রথম যোগ দিল চীন। উই ফেং বলেন, এই মহাদেশে শান্তির জন্য পরিচালিত হয়ে থাকে চীনা সেনা বাহিনীর কর্মকাণ্ড। তবে দেশের প্রয়োজনে পাল্টা হামলা করতেও পিছপা হবে না চীন।
তাইওয়ানের সঙ্গে মার্কিন সরকারের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও ওয়াশিংটন তাইপের কাছে প্রায়ই বিপুল সমরাস্ত্র বিক্রি করে থাকে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরকার তাইওয়ানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারে বলে উল্লেখ করছে। এ বিষয়টিকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য-বিরোধসহ নানা বিষয়ে দর কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় বলে মনে করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার