নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় ইনিংসের গোড়াতেই কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অস্বস্তিতে ভারত। পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মক্কায় সম্মেলনের পর সৌদি আরবের এক প্রবীণ রাজনীতিককে জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে ওআইসি।
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম মঞ্চ ওআইসি-তে চলতি বছরেই প্রথম ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে ডাক পায় ভারত। বিষয়টিকে কূটনৈতিক জয় হিসেবে তুলে ধরে দিল্লি। সাবেক বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আবু ধাবির সম্মেলনে ভারতের বক্তব্য তুলে ধরেন। কিন্তু তার পর কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে সরব হয় ওআইসি। দেশে তীব্র সমালোচনা হয় মোদি সরকারের।
এবার মক্কার সম্মেলনে ওআইসির কাশ্মীর সংক্রান্ত গোষ্ঠীর আলাদা বৈঠক হয়েছে। সেখানে ওই গোষ্ঠীর মানবাধিকার কমিশনের কর্মকর্তা মারঘুব বাট সদস্য দেশগুলোর কাছে জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার সংক্রান্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্মেলনের পর বিবৃতিতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে স্বীকৃত জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের ‘বৈধ অধিকার’-কে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে ওআইসি।
এরপর প্রবীণ সৌদি কূটনীতিক ইউসুফ আলদোবিয়েকে কাশ্মীর সংক্রান্ত বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওআইসি। ইউসুফ বর্তমানে ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তবে এ নিয়ে ওআইসির পক্ষ থেকে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ভারতও মুখ খোলেনি।
আবু ধাবির সম্মেলনে আমন্ত্রণকে ‘কূটনৈতিক জয়’ হিসেবে দেখিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল মোদি সরকারকে।
বিরোধী কংগ্রেস সাফ জানায়, ওআইসি কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকে কখনওই সমর্থন করেনি। ফলে ইউপিএ সরকারের আমলে ওই মঞ্চকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। মোদি সরকার এই আমন্ত্রণকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে কার্যত দেশের মুখ পুড়িয়েছে। এবার মক্কা সম্মেলনে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা দিল্লি কোন পথে করে তা-ই দেখার।
সূত্র: আনন্দবাজার
বিডি প্রতিদিন/কালাম