ভারতের হায়দ্রাবাদে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ শেষে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ভারতে তোলপাড়ের মধ্যেই একই রকম লোমহর্ষক আরও একটি ঘটনা ঘটল দেশটির বিহারে।
বিবিসির খবর, মঙ্গলবার বক্সার জেলার কুকড়া গ্রামে ১৬ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরীর দগ্ধ দেহ ক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।পুলিশ বলছে, চাষের ক্ষেতে রাখা খড় দিয়ে ওই কিশোরীর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে ওই কিশোরীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে কিশোরীর শরীরের ধর্ষণের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, ধর্ষণের পর তাকে প্রথমে গুলি করা হয়েছিল। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গুলির দুটি খালি কার্তুজও উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। তবে দেহের ঊর্ধ্বাংশ জ্বলে যাওয়ায় গ্রামবাসীরা কেউই ওই কিশোরীকে শনাক্ত করতে পারেনি।
বক্সারের ডেপুটি পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট সতীশ কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআই'কে জানিয়েছেন, "ধর্ষণের পরে গুলি করার পরেও সব প্রমাণ লোপাট করার জন্যই ওই কিশোরীকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই মনে হচ্ছে। কোমরের ওপর থেকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে দেহটি।"
"আমরা কিশোরীর পরিচয় এখনও জানতে পারিনি। তবে আশপাশের সব থানায় খবর দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও কিশোরী নিখোঁজ হয়েছে কী না তা জানা যায়।"
এই ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যখন এক সপ্তাহ আগের হায়দ্রাবাদের পশু চিকিৎসক এক নারীকে মহাসড়কের টোল প্লাজার ধারে নিয়ে গিয়ে অন্তত চারজন ধর্ষণ করে তারপরে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়। ওই ঘটনা নিয়ে সারা ভারত জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/মাহবুব