ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়ে গেল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল। বুধবারই এই বিলের সংশোধনে ছাড়পত্র দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিলটি পেশ করেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বিজেপির প্রায় সব মন্ত্রীই এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই বেঠকেই সর্বসম্মতিতেই বিলটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পায়। আগামী সপ্তাহেই বিলটি সংসদে পেশ করা হতে পারে।
এ ব্যাপারে এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান ‘বিলটিতে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে, এবার সংসদে বিলটি নিয়ে আলোচনা হবে।’
সূত্রে খবর আগামী ৯ ডিসেম্বর বিলটির খসড়া লোকসভা পেশ করা হতে পারে। সেখানে আলোচনার পর ভোটাভুটিতে পাশ করানো হবে। ১০ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পেশ করা হতে পারে বিলটি। দুই সভায় বিলটি পাশ হলে সেটি অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। আর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।
এই বিলের লক্ষ্যই হল বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্থান থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আসা অ-মুসলিম (হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি, জৈন) ধর্মালম্বী মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এর আগে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারী স্পর্শকাতর এই বিলটি লোকসভায় পাশ হয়ে গেলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় তা পাশ করা সম্ভব হয় নি। বিরোধীদের দাবি ছিল ধর্মের ভিত্তিতে যেন নাগরিকত্ব দেওয়া না হয়। রাজ্যসভায় এই বিলের বিরোধিতা করে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, সমাজবাদী পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও বামেরা। সবশেষে বিলটিই বাতিল হয়ে যায়।
কিন্তু এবার সংসদের দুইটি কক্ষেই তা ফের পাশ করাতে বদ্ধপরিকর মোদি সরকার। কিন্তু লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে পাশ হলেও রাজ্যসভায় প্রবল বাধার মুখে পড়তে পারে।
সম্প্রতি রাজ্যসভার অধিবেশনেই অমিত শাহ ঘোষনা দিয়েছিলেন যে চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল নিয়ে আসা হবে।
গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর অভিমত জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মতো নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলটি পাশ করাটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেদিন বিলটি সংসদে পেশ করবেন, সেদিন যেন সকল সংসদ সদস্যরাই উপস্থিত থাকেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার