বিজেপির সাবেক সভাপতি মুরলী মনোহর যোশি। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করেন তিনি। এই মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানিতে এই বর্ষীয়ান নেতাকে ১০৫০টি প্রশ্ন করেন বিচারক।
তাকে ষড়যন্ত্র করে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন যোশি। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের কাছে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন বিজেপির সাবেক সভাপতি মুরলী মনোহর যোশি।
কর সেবকদের মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মুরলী মনোহর যোশি যুক্ত ছিলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস করা হয় বাবরি মসজিদ। রাজনৈতিক ভাবে ষড়যন্ত্র করে এই মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন যোশি।
নিজের বয়ানে যোশি বলেন, 'তদন্ত প্রক্রিয়ার ওপর রাজনৈতিক চাপ ছিল এবং মিথ্যা সাক্ষ্য-প্রমাণ সাজিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।' বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এসকে যাদবের প্রশ্নের উত্তরে মুরলী মনোহর যোশি বলেন, 'সব সাক্ষীরা মিথ্যাবাদী। রাজনৈতিক কারণে এবং পুলিশের চাপের মুখে পড়ে তারা সবাই মিথ্যা কথা বলেছে।'
এই বিষয়ে ১৯৯১ সালের ২৬ জুন তোলা রাম জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত স্থানে মুরলী মনোহর যোশির সঙ্গে উত্তর প্রদেশের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং-এর একটি ছবি তাকে দেখান বিচারক। এই ছবিটির ব্যাখ্যা যোশির কাছে চাওয়া হয়। তবে এই ছবির কোনো ক্ষতিকর প্রভাব নেই বলে দাবি করেন যোশি। এই বিষয়ে সংবাদপত্রের বেশ কিছু পুরনো কাটিং তাকে দেখান বিচারক। সেই সব খবরে লালকৃষ্ণ আদভানী এবং শিবসেনার প্রয়াত নেতা বালা সাহেব ঠাকরে রাম জন্মভূমি নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। এই সব খবর সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চান বিচারক। উত্তরে যোশির জবাব, সব খবর মিথ্যা। রাজনৈতিক চাপে পড়ে ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
এক সাক্ষীর বয়ানকে উদ্ধৃত করে সিবিআই বিচারক যোশির কাছে জানতে চান যে, ১৯৯১ সালের ২৫ জুন কল্যাণ সিং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। পরের দিনই তিনি রামজন্মভূমি/বাবরি মসজিদ হিসেবে পরিচিত স্থানে যান। সেখানে তিনি স্লোগান দেন 'রাম লালা হাম আয়েঙ্গে, মন্দির এহি বানায়েঙ্গে।' এই বিষয়ে যোশির প্রতিক্রিয়া জানতে চান বিচারক। জবাবে যোশি বলেন, কল্যাণ সিং রাম জন্মভূমিতে গেলেও বাকি সবকিছু মিথ্যা।
সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন