লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বন্দর সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। আর সে জন্যে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হতে পারে ইসরায়েল। এমনই মন্তব্য করেছেন লেবাননের অর্থনীতিবিদ জিয়াদ নাসরুদ্দিন। তার বক্তব্য, লেবাননের বৈরুত বন্দর সব সময় ইসরাইলের হাইফা বন্দরের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে বৈরুত বন্দরের এই বিশাল ক্ষতি ইসরায়েলের হাইফা বন্দরের জন্য সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করবে।
জিয়াদ নাসরুদ্দিন আরও জানান, লেবানন প্রতিষ্ঠার পর এত বড় বিপর্যয় আর কখনও ঘটেনি। এর ফলে লেবাননের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আগামিদিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা এই অর্থনীতিবিদের। বৈরুত বন্দর সব সময় লেবাননের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। ভৌগোলিক কারণে সিল্ক রুট প্রজেক্টেও এই বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত, জাপানের হিরোশিমায় মার্কিন পরমাণু বোমা হামলার ফলে সৃষ্ট বিস্ফোরণের পর এই প্রথম এত বড় বিস্ফোরণ ঘটল। এর ফলে ১০০ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে বলে অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এদিকে, আবার লেবাননের এই বিস্ফোরণের পিছনে ইসরায়েলের হাত থাকতে বলে বিভিন্ন মহল থেকে আঙুল উঠেছে। যেমন- ইরাকের সাংসদের প্রভাবশালী সদস্য মুহাম্মাদ আল বালদাওয়ির বক্তব্য, লেবাননের বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পিছনে দখলদার ইসরায়েলের হাত থাকতে পারে।
ইরাকের এই সংসদ সদস্যের অভিমত, ইসরায়েলের এই ধরণের জঘন্য কাজ করতে অভ্যস্ত। তারা নিরপরাধ মানুষ মেরে আনন্দ পায়। অতীতে ভিন্ন দেশে এ ধরণের অনেক ঘটনাই ইসরায়েল ঘটিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য সাংসদের।
বৈরুতে প্রবল বিস্ফোরণের পর যে ঝাঁঝালো গন্ধের যে মাশরুম মেঘ উঠেছিল সেটা দেখে হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে পরমাণু হামলার কথা বার বার উঠে আসছে।
জানা গেছে, টানা ৬বছর ধরে ওই গোডাউনে মজুত করা ছিল ভয়ঙ্কর অ্যাসিড। এর পরিমান ২৭৫০ টন। সার এবং বিস্ফোরক বানানোর জন্য অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়। এই বিপুল পরিমান অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কী কারণে এত বছর গোডাউনে জমা থাকল আর সরকারের কাছে হিসেব গেল না এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে লেবানন সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ