ঘণ্টায় ১ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চলা হাইপারলুপের প্রথম পরীক্ষা যাত্রা সফল হয়েছে। হাইপারলুপ যানে প্রথম চড়েছেন দুই যাত্রী। ভার্জিন কোম্পানির জন্য ব্রিটিশ ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্র্যানসন সারাবিশ্বে পরিচিত। বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি ২০১৭ সালে হাইপারলুপ টেকনোলজি সংস্থাকে কিনে নেয় ব্র্যানসনের ভার্জিন প্রতিষ্ঠান।
এর আগে, ২০১২ সালে এই হাইপারলুপ প্রযুক্তির দৈনন্দিন ব্যবহারে সর্বপ্রথম আগ্রহ দেখান টেসলা ও স্পেস-এক্সের প্রধান ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এলন মাস্ক। এরপর, আরও অনেক উদ্যোক্তা যোগ দেন বাস্তবায়নে।
এ প্রযুক্তিতে ভ্যাকুয়াম-নিয়ন্ত্রিত যানের মাধ্যমে হাইপালুপ পড খুবই কম সময়ে লম্বা পথ পাড়ি দিতে পারে। অবশেষে নানা স্তরের গবেষণার পর, এই প্রথম হাইপারলুপ প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষভাবে নির্মিত যান বা ‘পড’ কোনো মানুষকে তার যাত্রী হিসেবে পেল।
এই হাইপারলুপে অভিজ্ঞতা কেমন?
ভার্জিনের দুই কর্মী রবিবার আমেরিকার নেভাডা রাজ্যের মরুভূমিতে একটি বিশেষ পরীক্ষামূলক হাইপারলুপ যাত্রায় অংশ নেন। ৫০০ মিটারের দূরত্ব সেই যাত্রায় সম্পূর্ণ করতে লাগে মাত্র ১৫ সেকেন্ড।
সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, এই পদক্ষেপকে হাইপারলুপ গবেষণায় বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখছে ভার্জিন।
যাত্রী সারা লুসিয়ান এএফপিকে জানান, হাইপারলুপে চড়ার অভিজ্ঞতা তার জন্য ‘শারীরিক ও মানসিক, দুই দিক দিয়েই ছিল অত্যন্ত উত্তেজক।’ কোনো ধরনের অস্বস্তি বোধ করেননি সারা।
এই প্রযুক্তি পরীক্ষার স্তর পেরোলে একবারে ২৮জনকে নিতে পারবে, বলে মনে করছে ভার্জিন। ভার্জিন হাইপারলুপ এই খাতে ইতোমধ্যে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় ৩৪০০ কোটি টাকা) বিনিয়োগ জোগাড় করেছে, যার মধ্যে রয়েছে দুবাই সরকারের ডিপি ওয়ার্লড সংস্থাও।
হাইপারলুপ যানের প্রথম সফল পরীক্ষামূলক যাত্রা নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ভার্জিন। কিন্তু অন্যান্য মহলে এই যানের নিরাপত্তার মাপকাঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুইডেনের রয়াল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির এক গবেষক জানান, তার মতে এ ধরনের অতিগতিসম্পন্ন যাত্রায় যাত্রীদের ‘গা গুলিয়ে ওঠা’র সম্ভাবনা প্রবল।
সূত্র: ডয়চে ভেলে, এএফপি
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ