আরও অবাক করার বিষয়, সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসাও রুশ গোয়েন্দাদের গবেষণারই ফল। এমনই দাবি সাবেক কেজিবি মেজর ইউরি শভেত্সের। যা যে কোনও হলিউড থ্রিলারকেও হার মানায়। রহস্যের গন্ধ পেতে ক্রেগ অঙ্গারের লেখা বই ‘আমেরিকান কম্প্রোম্যাটের’ পাতা উল্টে যেতে হবে ৪৩ বছর আগে।
সালটা ১৯৭৭, উদীয়মান ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প চেক মডেল ইভানা জেলনিকোভাকে বিয়ে করেন। সেই থেকেই রুশ গোয়েন্দাদের নজরে আসেন ট্রাম্প। এরপর থেকে অজান্তেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পকে তৈরি করতে কাজ করেছে কেজিবি। কখনও জেনেবুঝেও কেজিবির সাহায্য নিয়েছেন ট্রাম্প। এমনটাই দাবি শভেত্সের।
প্রেক্ষাপট এমনই, টিভি কেনাই পরোক্ষভাবে ট্রাম্পকে সাহায্য করেছে প্রেসিডেন্ট হতে। আর এই অভিষেকের নেপথ্যে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র কিসলিন। তৎকালীন সময়ে কিসলিন ছিলেন জয়-লুড ইলেক্ট্রনিকস কোম্পানির মালিক। ট্রাম্প তার নিউইয়র্ক হায়াত হোটেলের জন্য ২০০টি টেলিভিশন সেট কিনতে গিয়েছিলেন কিসলিনের কাছে। এরপরই কিসলিন মারফত কেজিবির সঙ্গে সংযুক্ত হন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের কম্প্রোম্যাটের লেখা হয়েছে, ১৯৮৭ সালে যখন ট্রাম্প ও ইভানা মস্কো ভ্রমণে গিয়েছিলেন, তখন কেজিবি গোয়েন্দাদের বক্তব্যে ট্রাম্পের মনে এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে সে বছরই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন তিনি।
তবে এই কিসলিন অবশ্য কেজিবির সঙ্গে তার সংযোগের কথা স্বীকার করেননি। যদিও শভেত্সের দাবি, কেজিবির স্থানীয় এজেন্ট হয়ে আমেরিকায় ছিলেন কিসলিন। শভেত্সের এ-ও দাবি, ২০১৬ সালে যখন ট্রাম্প যেতেন তখন মস্কোয় সাড়ম্বরে পালিত হয়েছিল বিজয়োত্সব।
ট্রাম্পের জয়ে রুশ কারচুপির অভিযোগ আগেই এসেছে, পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে ট্রাম্পের রাশিয়া প্রীতিও। সেক্ষেত্রে আমেরিকান কম্প্রোম্যাটের সব কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে হলফ করে বলা যায়, মার্কিন গণতন্ত্রের আজীবন ইতিহাসে অন্যতম একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে থেকে যাবেন ট্রাম্প।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক