রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লবণখনি সমৃদ্ধ শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে।
ভাড়াটে সেনাদের নিয়ে ওয়াগনার বাহিনী গঠিত। সংস্থার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত।
ইয়েভজেনিকে উদ্ধৃত করে রুশ বার্তা সংস্থাগুলো বলছে, ওয়াগনার সেনারা সোলেদারের পুরো ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। শহরের কেন্দ্রস্থলে অনিশ্চিত এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে এখনো লড়াই চলছে।
ওয়াগনারপ্রধান বলেন, যুদ্ধবন্দীর সংখ্যা আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। এর বাইরে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। রাশিয়ার জন্য সোলেদার ও শহরটির বিপুল লবণখনির নিয়ন্ত্রণের প্রতীকী, সামরিক ও বাণিজ্যিক মূল্য আছে।
এর আগে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, চার দিন ধরে অগ্রসর হওয়ার পর রুশ সেনা ও ওয়াগনার যোদ্ধারা সোলেদারের অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোলেদারের কেন্দ্রে লড়াই অব্যাহত থাকা নিয়ে ওয়াগনারপ্রধানের মন্তব্যে বোঝা যায়, শহরটি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি রাশিয়া। যদিও তার বক্তব্যে বলা হয়েছে, গোটা শহর ওয়াগনারের কবজায় রয়েছে।
তবে ভাড়াটে রুশ সেনাদের সোলেদার নিয়ন্ত্রণের তথ্য অস্বীকার করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। বাহিনীর পূর্ব কমান্ডের মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বলেছেন, সেখানে তীব্র লড়াই চলছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করা যায়। টেলিভিশনে ইউক্রেন বাহিনীর এই কমান্ডার বলেন, ‘সোলেদারের যুদ্ধ গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রন্ট লাইন ভেঙে রুশ সেনাদের সেখানে নিয়ন্ত্রণ নিতে দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতি জটিল বলে স্বীকার করেন তিনি।’
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী হান্না মালিয়ার বলেন, শহরটি নিয়ন্ত্রণে এখনো লড়াই চলছে। নিজেদের বিপুলসংখ্যক সেনার প্রাণহানিকে উপেক্ষা করে শত্রুরা ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে।
মালিয়ার আরও বলেন, আমাদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথগুলোতে কেবলই শত্রু যোদ্ধাদের মরদেহ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমাদের যোদ্ধারা সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ করে চলেছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল