সমুদ্র পরিবহন খাতে কার্বন কর আরোপের পক্ষে ভোটদানকারী দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের একটি সংস্থার মাধ্যমে এই কর আরোপের প্রচেষ্টা চলছে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং জ্বালানি ও পরিবহন দফতরের মন্ত্রীরা বলেন, ‘আমরা আমাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেব। যেসব দেশ এই ‘নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্ক’-কে সমর্থন করবে, তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে।’
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সামুদ্র পরিবহন সংস্থা (আইএমও) আগামী সপ্তাহে বৈশ্বিক সমুদ্র পরিবহন থেকে কার্বন নির্গমন কমাতে প্রস্তাবিত ‘নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্ক (এনজেডএফ)’ চুক্তির উপর ভোট দেবে।
লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) আগামী সপ্তাহে ‘নেট জিরো ফ্রেমওয়ার্ক’ (এনজেডএফ) চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটি করতে যাচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো সমুদ্র পরিবহন খাতে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ কমানো।
তবে, ওয়াশিংটন এই প্রস্তাবকে ‘বিশ্বের ওপর বৈশ্বিক কার্বন কর চাপানোর উদ্যোগ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নীতিতে আগের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেন এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারকে উৎসাহিত করেন।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও, জ্বালানি মন্ত্রী ক্রিস রাইট ও পরিবহন মন্ত্রী শন ডাফি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ‘এনজেডএফ’ প্রস্তাবকে ‘সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান’ করছে।
তারা সতর্ক করেন, এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর মধ্যে রয়েছে-ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ওইসব দেশের নিবন্ধিত জাহাজকে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে প্রবেশে বাধা, বাণিজ্যিক জরিমানা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যে দেশগুলো ইউরোপের নেতৃত্বাধীন এই নব্য-ঔপনিবেশিক জলবায়ু নিয়মকানুনকে সমর্থন করে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর এসব পদক্ষেপ নেবে।’
সূত্র : রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত