মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে যুক্তরাজ্যের বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এই হামলা চালানো হয়।
অথচ যেকোনও দেশে সামরিক অভিযান পরিচালনার আগে কংগ্রেসের অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে মার্কিন সংবিধানে।
কংগ্রেসের অনুমতি ছাড়াই ইয়েমেনে হামলা চালানোর ঘটনায় মার্কিন রাজনীতিতে দেখা দিয়েছে বিভক্তি।
ডেমোক্র্যাট পার্টির মার্কিন আইনপ্রণেতা রো খান্না বলেছেন, “ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করার এবং মধ্যপ্রাচ্যের আরেকটি সংঘাতে আমাদের জড়ানোর আগে প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই কংগ্রেসে আসতে হবে। মার্কিন সংবিধানে এটিই বলা আছে।”
আরেক ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা ভ্যাল হোয়েল বলেন, “(ইয়েমেনে) এই বিমান হামলাগুলো কংগ্রেস কর্তৃক অনুমোদিত নয়। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে: বিদেশে যেকোনও সংঘাতে সামরিকভাবে জড়ানোর অনুমোদনের একমাত্র কর্তৃত্ব রয়েছে কংগ্রেসের।”
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা জেসন ক্রো বলেছেন, “আমেরিকাকে আরও বড় কোনও সংঘাতে জড়ানোর বিষয়টিকে আমি সমর্থন করছি না।”
আরেক ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা মার্ক পোকান বলেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া আরও কয়েক দশক ধরে চলতে পারে এমন সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নিতে পারে না।”
রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিন্স বলেছেন, “ইরান এবং তার প্রক্সিদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে মার্কিন সৈন্যদের উপর বারবার আক্রমণ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথে বিঘ্ন ঘটনানোর মতো কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।”
ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা গ্রেগরি মিকস বলেছেন, যদিও আমি এই টার্গেটেড আংশিক সামরিক হামলাকে সমর্থন করি, তবে একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়াতে বাইডেন প্রশাসনকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলব। সেই সঙ্গে আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় কৌশল ও আইনি ভিত্তি অনুযায়ী কংগ্রেসকে বিস্তারিত অবগত করে এ বিষয়ে অনুমতি নেওয়ার আহ্বান জানাই।”
রিপাবলিকান সিনেট নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন, “এই ইরানি প্রক্সিদের (হুথি) বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করে ফেলেছেন ।” সূত্র: আল জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/আজাদ