সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক একটি ব্রোকারেজ ফার্ম রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। বিনিয়োগকারীদের তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ দিরহাম হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
দ্য খালিজ টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত মাস পর্যন্ত দুবাইয়ের বিজনেস বে-তে ক্যাপিটাল গোল্ডেন টাওয়ারে গাল্ফ ফার্স্ট কমার্শিয়াল ব্রোকারসের দুটি অফিস স্পেস ছিল। যেখান থেকে তাদের প্রায় ৪০ জন কর্মচারী ফরেক্স অফার দিয়ে বিনিয়োগকারীদের অবিরামভাবে ডাকতেন।
এখন, দুটি অফিসই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। মেঝে ধুলোয় ঢাকা, ফোনের তার ছিঁড়ে গেছে এবং বহু বিনিয়োগকারীর তহবিল কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই চলে গেছে।
ক্যাপিটাল গোল্ডেন টাওয়ারের একজন নিরাপত্তারক্ষী বলেছেন, তারা (ফার্ম ম্যানেজমেন্ট) চাবি ফেরত দিয়েছে, সবকিছু পরিষ্কার করেছে এবং তাড়াহুড়ো করে চলে গেছে। এখন আমাদের কাছে প্রতিদিন লোক আসছে এবং তাদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছে।
অনিশ্চিত অবস্থায় থাকা অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে রয়েছেন ভারতের কেরালার প্রবাসী মোহাম্মদ এবং ফায়াজ পোয়েল, যারা গাল্ফ ফার্স্ট কমার্শিয়াল ব্যাংকার্সে তাদের ৭৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
ক্যাপিটাল গোল্ডেন টাওয়ারে ফার্মের অফিসে যাওয়া পয়েল বলেন, আমি এখানে উত্তর খুঁজতে এসেছি, কিন্তু কিছুই নেই, কেউ নেই। শুধু খালি অফিস। আমরা প্রতিটি নম্বরে ফোন করেছি, কিন্তু কেউ সাড়া দেয়নি। মনে হচ্ছে যেন তাদের অস্তিত্বই ছিল না।
আরেকজন ভারতীয় বিনিয়োগকারী সঞ্জীব বলেন, গাল্ফ ফার্স্ট কমার্শিয়াল ব্রোকারস আগ্রাসীভাবে ক্লায়েন্টদের সিগমা-ওয়ান ক্যাপিটালের দিকে ঠেলে দিয়েছে। একটি অনিয়ন্ত্রিত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। তিনি বলেন যে ব্রোকারেজ ফার্মটি নিরাপদ রিটার্নের নিশ্চয়তা দেয় এবং বারবার নির্দোষ বিনিয়োগকারীদের তাদের জীবনের সঞ্চয় বিনিয়োগ করতে রাজি করার জন্য আশ্বাস দেয়।
মোহাম্মদ, যিনি ফার্মে ৫০,০০০ ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন। তিনি বলেন, কোম্পানির কর্মীরা গাল্ফ ফার্স্ট এবং সিগমা-ওয়ান নাম দুটিকে আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করতেন। দাবি করতেন যে তারা একই ব্যবসা।
বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী বলেছেন, তারা কেবল ফোন কথোপকথনের মাধ্যমেই ফার্মে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে রাজি হন। বিনিয়োগকারী পয়েল বলেন, আমাকে প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ডলার জমা করতে রাজি করান। সময়ের সাথে সাথে, মসৃণ ট্রেডিং এবং প্রাথমিক লাভের মোহে প্রলুব্ধ হয়ে আমাকে আরও তহবিল যোগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল