ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই। এতে কয়েক লাখ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হয়েছে সড়ক, ট্রেন ও বিমান চলাচল।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরের বেশিরভাগ জায়গায় কোমর পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।
এক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেখানকার বাসিন্দারা জলাবদ্ধ রাস্তায় সাঁতার কাটছেন। কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার প্রায় ৬০০ মানুষকে উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ২৩ জনকে শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ স্কুল ও কলেজ বন্ধ আছে। ৩৫০ জনকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ মুম্বাই ও আশপাশের জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। বুধবারও ভারী বর্ষণের আশঙ্কা করা হয়েছে।
তবে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হবে। চার দিনে মুম্বাইয়ে ৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত দেখা দিয়েছে। যা স্বাভাবিকের থেকে বেশি। চার দিনে ভারী বর্ষণে মুম্বাইয়ে ২১ জন নিহত হয়েছেন।
বৃষ্টির কারণে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেন স্টেশনে হাজার হাজার মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। রাতে যেসব ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল সেগুলো সকালে ছেড়েছে। সকালে যেগুলো ছাড়ার কথা ছিল সেগুলো পরবর্তীতে ছাড়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসা-যাওয়া বিমান চলাচলেও প্রভাব পড়েছে। গত কয়েক দিনে ৫০টির মতো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
এদিকে এক যাত্রী বলেছেন, ট্রেনের এসি বন্ধ থাকায় তারা দরজা খুলে সাহায্যের জন্য আহ্বান জানান। দমকল বাহিনী ও পুলিশ জানিয়েছে, উঁচু ট্রেন লাইনে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে ক্রেন ব্যবহার করা হয়েছে।
বিরোধী দলীয় আইন প্রণেতারা অবশ্য এর জন্য সরকারের অসতর্কতাকে দায়ী করেছে। বিরোধী দল শিভ সেনার আদিত্য ঠাকরে বলেছেন, মুম্বাইসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় শাসনের সম্পূর্ণ পতন হয়েছে। বলেছেন, লাল সতর্কতা জারি করা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনও প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। নতুন নতুন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/একেএ