জ্বালানি সংকটের কারণে মালিতে রবিবার থেকে দেশব্যাপী সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠীর অবরোধে জ্বালানি সরবরাহ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, দেশটির শিক্ষামন্ত্রী আমাদু সি সাভানে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় জানান, জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় স্কুলশিক্ষক ও কর্মীদের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে—এ কারণে দুই সপ্তাহের জন্য ক্লাস স্থগিত করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, সরকার “যত দ্রুত সম্ভব” জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে, যাতে ১০ নভেম্বর থেকে আবার ক্লাস শুরু করা যায়।
আল-কায়েদা সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী জামা’আত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে মালিতে জ্বালানি আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে ভূমিবেষ্টিত মালির ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও সংকটে পড়ে এবং শত শত জ্বালানিবাহী ট্রাক সীমান্তে আটকে থাকে।
মালি, প্রতিবেশী বুরকিনা ফাসো ও নাইজারের সঙ্গে মিলে বহু বছর ধরে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী এবং স্থানীয় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিন দেশেই সামরিক অভ্যুত্থানের পর ফরাসি বাহিনীকে বহিষ্কার করে তারা নিরাপত্তা সহযোগিতার জন্য রুশ ভাড়াটে সেনাদের ওপর নির্ভর করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এতে খুব একটা উন্নতি ঘটেনি।
রাজধানী বামাকোতে এখন পেট্রোল স্টেশনগুলোর সামনে লম্বা লাইন পড়ছে, আর জ্বালানি সংকটে পণ্যমূল্য ও পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে।
দেশটি জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এই অবরোধকে সামরিক জান্তার জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০২০ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলের পর তারা দাবি করেছিল, নিরাপত্তা সংকট সমাধানের জন্যই এটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
জ্বালানি সংকট নিরসনে মালির সেনাবাহিনী সীমান্ত থেকে কিছু জ্বালানিবাহী ট্রাককে রাজধানীতে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। কিছু ট্রাক বামাকোতে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও, অন্যগুলো পথে জঙ্গিদের হামলার শিকার হয়।
সূত্র: এবিসি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজিম