ক্যারিবিয়ান সাগরের মধ্য-দক্ষিণ অংশে সৃষ্টি হয়েছে ৪ নম্বর ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড় 'মেলিসা'। যেটি হাইতির দক্ষিণ–পশ্চিম উপকূলের কয়েকশ কিলোমিটার দূর থেকে এগোচ্ছে ঘণ্টায় প্রায় ২৩০ কিলোমিটার বেগে।
ঘূর্ণিঝড়টি ক্যারিবীয় অঞ্চলের জ্যামাইকা ও হাইতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরগুলো জানিয়েছে, এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কিউবা ও ক্যারিবীয় সাগরের আশপাশের দ্বীপপুঞ্জতে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্টের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি ক্যাটাগরি ৫-এ পৌঁছাতে পারে।
এ অবস্থায় জ্যামাইকার সরকার রাজধানী কিংস্টনসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে জনসাধারণকে বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে নিচু এলাকা ও বন্যাপ্রবণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আহ্বান জানিয়েছিল।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ডেসমন্ড ম্যাকেনজি বলেন, রাজধানীর কোনো এলাকাই নিরাপদ নয়। এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যামাইকার কর্মকর্তারা জানান, দেশের দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ৮৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
এদিকে, হাইতি সরকার জানিয়েছে, মেলিসার প্রভাবে তিনজন মারা গেছেন। ঘরের দেয়াল ধসে আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পূর্বে সেন্ট-সুজানে নদীর পানি বেড়েছে। নদীর তীরবর্তী বাঁধ ভেঙে একটি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির অনেক বাসিন্দা এখনও তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে চাচ্ছেন না।
ঝড়টি ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের প্রায় ২০০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ইতোমধ্যে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত করেছে, যার ফলে পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ পানি পাচ্ছেন না।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, জ্যামাইকায় স্থানীয় সময় সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যে সরাসরি আঘাত হানতে পারে। হাইতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে প্রভাব পড়বে। পরবর্তী সময়ে এটি দুর্বল হয়ে কিউবা ও বাহামার দিকে এগিয়ে যাবে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, পলিটিকো, রয়টার্স
বিডিপ্রতিদিন/এমই