ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের বরাদ্দকৃত বৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা অবৈধ বলে উচ্ছেদ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেলা শহরের সব ফার্মেসি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে ধর্মঘট পালন করছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেছেন শহরের ব্যবসায়ীরা। এতে শহরের প্রায় সহস্রাধিক ফার্মেসি বন্ধ রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়ছেন রোগী ও সাধারণ মানুষ।
এদিকে, কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ওষুধ দোকানের ব্যবসায়ীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরকারি মহিলা কলেজ মার্কেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ ছানাউল হক ভূঁইয়া, পৌর শাখার সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জিয়াউল হক, খোকন খান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা কলেজ মার্কেটে ১৪টি দোকান ২৮ হাজার টাকা করে সিকিউরিটি মানি দিয়ে বৈধভাবে ভাড়া নেওয়া হয়। ব্যবসায়ীরা নিয়মিত ভাড়া প্রদান করে আসছেন। অথচ সম্প্রতি বরাদ্দকৃত দোকানগুলোকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে জোরপূর্বক উচ্ছেদের চেষ্টা করা হচ্ছে। যা অমানবিক ও অবৈধ। ব্যবসায়ীরা দোকান স্থানান্তরের জন্য পূর্বে চুক্তিনামামূলে ছয় মাস সময় দাবি করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছে না। এ অবস্থায় অবিলম্বে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ন্যায়সংগত সমাধান চান তারা। সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের অভ্যন্তরে জেলা সদর হাসপাতালসহ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। সোমবার সকাল থেকে শহর অভ্যন্তরে সব ফার্মেসি বন্ধ থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা জানান, ডাক্তার দেখানোর পর চিকিৎসা শেষে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে গেলে তারা সব ফার্মেসি বন্ধ পান। কোনো ধরনের ওষুধই তারা কিনতে পারছেন না। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সবাই। এমতাবস্থায় শহরের বাইরে থেকে তাদের ওষুধ আনতে হবে। বিষয়টির দ্রুত সমাধান চান তারা।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের সামনে মার্কেটের দোকান উচ্ছেদ করে কলেজের নতুন ফটক নির্মাণের দাবিতে কয়েকদিন যাবৎ বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন নারী শিক্ষার্থীরা।
বিডি প্রতিদিন/কেএইচটি