শিরোনাম
শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

বিভিন্ন দেশের নাগরিক সমাজের মাধ্যমে জনমত তৈরি করতে হবে

আমেনা মোহসীন

বিভিন্ন দেশের নাগরিক সমাজের মাধ্যমে জনমত তৈরি করতে হবে

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমেনা মোহসীন বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান বাংলাদেশের ওপর নয়, মিয়ানমার সরকারের ওপর নির্ভর করছে। এখন মিয়ানমার সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র চাপ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাজে লাগাতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আমেনা মোহসীন বলেন, আমার মতে আগামী মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা সংকট ইস্যু আরও জোরদারভাবে তুলতে হবে। ক্রমাগতভাবে এ বিষয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে কাজ করে যেতে হবে। পাশাপাশি যেহেতু সরকারি লেভেলে এর সমাধান সেভাবে আসছে না, সে জন্য বিভিন্ন দেশের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাজে লাগানো যেতে পারে। এর একটা উদাহরণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। কারণ ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে সেখানকার নাগরিক সমাজের সঙ্গে কনসার্ট ফর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জনমত কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষে এসেছিল। আমার মনে হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতেও জনমত তৈরির বিষয়ে জোর দেওয়ার প্রয়োজন আছে। বিশেষত যে দেশগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের ভালো সম্পর্ক আছে সেখানে জনমত তৈরিতে সে দেশের নাগরিক সমাজের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। এটা একটা বড় কাজ হবে। কারণ আদর্শ রাষ্ট্রে সরকারের ওপর জনমতের একটা বিরাট প্রভাব থাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের প্রতি স্থানীয় অধিবাসীদের অন্যরকম মনোভাব দেখা যাচ্ছে। এটা একেবারেই অমূলক নয়। কারণ স্থানীয় সম্পদের একটা সীমাবদ্ধতা সবসময়ই আছে। আবার জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে। অপরাধও বাড়ছে বেশ। বিপরীতে রোহিঙ্গারা পাচ্ছে সুযোগ-সুবিধা। এটা বিরূপ মনোভাব তৈরি করবেই। এক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশ সরকার নয়, বড় দায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। কারণ স্থানীয়রা মনে করছে, আন্তর্জাতিক সহায়তার যে অংশ স্থানীয় জনগণের পাওয়ার কথা তা তারা পাচ্ছে না। তাই অদূর ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অধিকার যেন রক্ষা হয়, তা নিশ্চিত করতেই হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর