বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

দার্জিলিং কমলায় বাজিমাত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

দার্জিলিং কমলায় বাজিমাত

ঠাকুরগাঁওয়ে আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েলের বাগানে দার্জিলিং জাতের কমলা থোকায় থোকায় ঝুলছে। এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখার জন্য প্রতিদিন ভিড় করছে দর্শনার্থীরা। পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েলের বাগানে গেলে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। এ কমলা মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে চাহিদাও রয়েছে। বাগানে কাজ করে অনেকের সংসারে ফিরেছে সচ্ছলতা।

সারেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ১০ বছর আগে হর্টিকালচার থেকে কয়েকটি চারা ক্রয় করে রোপণ করেন জুয়েল। দুই বছরের মাথায় আশানুরূপ ফল হওয়ায় বাগানের পরিধি বাড়ান। বর্তমানে বাগানে প্রায় ৩ শ কমলা গাছ রয়েছে। উৎপাদিত বাগানের ফল স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। নভেম্বর থেকে উৎপাদিত কমলা বিক্রি করতে শুরু করেছেন জুয়েল। প্রতিটি গাছে আট থেকে ৯ শ কমলা ধরেছে। চলছে বিক্রির কার্যক্রম। প্রতি কেজি কমলা বিক্রি করছেন ৩০০ টাকা দরে। একই প্লটে উৎপাদন করা হয়েছে চারা। বাগান দেখতে আসলে চারাও ক্রয় করতে পারছেন দর্শনার্থীরা।

দর্শনার্থী ওমর ফারুক বলেন, শহর থেকে এসেছি কমলা বাগান দেখতে। আমি দার্জিলিংয়ে বাগান দেখেছি। কিন্তু এ বাগান এত সুন্দর তা দার্জিলিংয়ের বাগানগুলোকেও হার মানাবে। এই কমলা অনেক মিষ্টি। আমার  দেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি তা এই বাগান দেখেই বোঝা যায়।

বাগানের শ্রমিক নরেন মোহন জানান, আমি বাগানে শুরু থেকেই কাজ করছি। এখন প্রতিদিন প্রায় হাজারের ওপর মানুষ আসে এই বাগান দেখতে। আমরা বাগানে ৮-১০ জন কাজ করছি। বাগানের মালিক আবু জাহিদ ইবনুল ইরাম জুয়েল বলেন, এই বাগান থেকেই এবার ১০ হাজার মেট্রিকটন কমলা উৎপাদন হবে আশা করছি। আমার বাগানের বয়স প্রায় ১০ বছর। তিন বছর পর থেকেই ফলন আসা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে বাগানটি ভাইরাল হয়েছে। সে জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই বাগান দেখতে আসে। তবে কৃষকরা যদি এভাবে কমলার বাগান করতে এগিয়ে আসে তাহলে কৃষিতে একটা বিপ্লব ঘটবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর