বুধবার, ৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আচরণবিধি নিয়ে ডিসি এসপিকে ইসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট ডিসি ও এসপিকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মনোনয়পত্র দাখিলের সময় কোনো শো-ডাউন মিছিল যাতে না করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতেই নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। গতকাল নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আসন্ন খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগ ও প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুসারে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৬ মে ও ২৩ মে। উল্লিখিত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো কোনো প্রার্থীর মিছিল, মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বা শো-ডাউন করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালায় রয়েছে- মিছিল বা শোডাউন সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ- (১) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল কিংবা শো-ডাউন করা যাবে না বা প্রার্থী ৫ (পাঁচ) জনের অধিক সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না। (২) নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো প্রকার মিছিল বা কোনোরূপ শো-ডাউন করা যাবে না। যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ- কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান- (ক) কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহনসহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা অন্য কোনো প্রকারের মিছিল করতে পারবে না কিংবা কোনোরূপ শোডাউন করতে পারবে না।

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের সন্তোষজনক ব্যাখা না দিতে পারলে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লার কিছু না কিছু শাস্তি হতেই পারে বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘কমিশন থেকে যেটা মনে হইছে এ ব্যাপারে আমরা জিজ্ঞেস করি রিটার্নিং কর্মকর্তা যেহেতু আগেই নিষেধ করছিল তার পরও এটা কেন করলেন?।’ গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

এদিকে আচরণবিধি ভঙ্গের ব্যাখ্যা দিতে গত রবিবার আজমত উল্লাকে ঢাকার নির্বাচন ভবনে ডেকেছে ইসি। আগামী ৭ মে নির্বাচন ভবনে এসে তাকে কারণ ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে।

আচরণবিধি ভঙ্গে কী শাস্তি হবে তা নির্ভর করবে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় বলে জানান কমিশনার মো. আলমগীর। তিরস্কার যেমন শাস্তি তেমনি জেল-জরিমানা এবং প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও আছে আইনে বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়ম-কানুন সবাইকে মানতে হবে। আচরণবিধি না মানলে রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ব্যবস্থা নেবেন। এরপর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও আছে কমিশনের। আমরা যে ধরনের মেসেজ দিচ্ছি আশা করি তারা আচরণবিধি মেনে চলবেন।’ মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘অনেকেই হয়তো আইনকানুন সম্পর্কে অবগত নন। সে জন্য আমরা মন্ত্রিপরিষদের মাধ্যমে তাদের অবগত করার জন্য চিঠি দিয়েছি।’

সর্বশেষ খবর