অবৈধ সম্পদ, অর্থ পাচার ও ক্রয়বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ ও তার দুই ভাই হারিস আহমেদ এবং তোফায়েল আহমেদ জোসেফের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই দিন টেন্ডারবাণিজ্য, সরকারি সম্পত্তি দখল, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। গতকাল দুদকের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার ম লের পৃথক চিঠিতে এসব জানানো হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদক জানায়, সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের বিরুদ্ধে ক্ষমতা অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট ক্রয়সহ ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আলিশান বাংলো নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসে বাড়ি, নিকুঞ্জ-১ এর ৬ নম্বর রোডে আজিজ রেসিডেন্স নামে বাড়ি কিনেছেন। তার ছোট ভাই তোফায়েল আহমেদ জোসেফের নামে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ও কয়েক শ বিঘা জমি কিনেছেন। এ ছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। অর্থ পাচার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে ব্যবসা পরিচালনা এবং বাড়ি কেনার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদিকে ফেনী-২ আসনের সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী গত তিন সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ঢাকা, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় নামে-বেনামে জমি, বাণিজ্যিক ভবন কেনা, বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। এ ছাড়া তার মালিকানাধীন রিক্রুটিং এজেন্সি স্নিগ্ধা ওভারসিজ লিমিটেডের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।