বরিশাল বিভাগের চরাঞ্চলের ৩০ ভাগ জমি অনাবাদি অবস্থায় রয়েছে। জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়া, বড় ঘাস জন্মানো ও বালিতে পরিপূর্ণ থাকায় এসব জমি চাষের উপযোগী নয় বলে জানা গেছে। বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, বিভাগের ছয় জেলায় ২ লাখ হেক্টরের বেশি জায়গাজুড়ে চর। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার হেক্টর চরে ফসল আবাদ করা হয়। বাকি জমি থাকে অনাবাদি অবস্থায়। এসব জমিতে ধান, গম, খেসারি, ফেলন, মুগ, চিনা বাদাম, সয়াবিন, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, সরিষা, তরমুজ, ঘাস, ভুট্টা, সূর্যমুখী, আলুসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ হয়। ভবিষ্যতে তাল গাছ, খেজুর গাছ, নারিকেল গাছও রোপণ করা যাবে। সবচেয়ে বেশি চর রয়েছে বরিশালে। এ জেলায় ৫৩ হাজারের বেশি হেক্টর চরের মধ্যে অনাবাদি প্রায় ৪ হাজার একর জমি। বরগুনায় ৫২ হাজার ২০৯ হেক্টরের মধ্যে অনাবাদি সাড়ে ৩২ হাজার হেক্টর জমি। ভোলায় প্রায় সাড়ে ৪৭ হাজার হেক্টরের মধ্যে আবাদ হয় প্রায় ২৯ হাজার হেক্টরে। পটুয়াখালীতে ৪২ হাজার হেক্টরের মধ্যে অনাবাদি প্রায় ৪ হাজার। পিরোজপুরের প্রায় ৫ হাজার হেক্টরের মধ্যে অনাবাদি প্রায় ১ হাজার। ঝালকাঠির ৫ হাজার ৮২১ হেক্টরের মধ্যে আবাদি জমির পরিমাণ ৫ হাজার হেক্টর।
বরিশাল কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক বলেন, চরের যে জমি অনাবাদি রয়েছে, সেই জমি জোয়ারের সময় পানিতে ডুবে যায়। এ ছাড়া জমিগুলোতে বড় ঘাস জন্মে। কিছু জমি বালুতে পরিপূর্ণ। এসব জমির মাটি বেলে দোআঁশে পরিণত হলে ফসল চাষের উপযুক্ত হবে।