৯ থেকে ১২ জুন ছিল পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটি। এ সরকারি ছুটির মধ্যে তিন জেলায় সরকারি সফরে ছিলেন একজন অতিরিক্ত সচিব। তিনি ঈদের ছুটিতে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলায় সরকারি সফর করেন। সফরে তিন জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু কোথাও সেই বৈঠক হয়নি। কথা ছিল প্রকল্প পরিদর্শনের। কার্যত তা-ও হয়নি। সরকারি এ সফরে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে ছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছুটিতে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরে আলাপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহত নেতা-কর্মীরা মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল ও বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় সম্মেলন শুরু হয়। দুপুরে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল হালিম খোকনের বক্তব্য চলাকালে দুই সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার ও আবদুস ছত্তার হাওলাদারের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী আবদুস ছত্তার হাওলাদার জানান, খলিলুর রহমানের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমার পক্ষের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
অপর প্রার্থী খলিলুর রহমান শিকদার জানান, আবদুস ছত্তার হাওলাদারের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। এতে আমাদের ২০ জনের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ জানান, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ায় পর বিএনপির নেতারা সম্মেলন স্থগিত করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।