পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ছিটমহলের বাসিন্দাদের বৈধ কাগজ না থাকায় নারী, শিশুসহ কয়েকজনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তারা হলেন শামসুল হক, রেজাউল হক, রবিউল হক, রশিদা বেগম, মুহাম্মদ রুমান হক, রায়হান হক ও রুমিনা খাতুন। তারা সবাই দিনহাটার ছিটমহলের বাসিন্দা। প্রথমে আটজনকে আটক করলেও একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুক্তি পাওয়া ব্যক্তির বাড়ি দিনহাটার নাচীন এলাকায়। এ সংবাদ পাওয়ার পর ছিটমহলবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন তাদের বৈধ ভারতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি কার্যকর হয়। বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে চলে আসেন আইন অনুযায়ী এখনো নাগরিকত্ব পাননি। ভারতের পার্লামেন্টে ১১৯তম সংবিধান সংশোধন অনুসারে এদের সবার নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। এর মধ্যে মোদি সরকার নতুন নাগরিক আইন সংশোধন করেছে। ফলে ২০১৪ সালের পর অন্য কেউ বা হিন্দুরা ছাড়া মুসলমানরা নাগরিকত্ব পাবেন না। এদের সুনির্দিষ্ট জীবিকা না থাকায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ছিটমহল চুক্তি বিনিময়ের পর বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছিলেন তাদের প্রথমে কোচবিহারের দিনহাটা এলাকায় কৃষি মেলর প্রাঙ্গণে থাকার ব্যবস্থা হয়। পরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বলরামপুরে স্থায়ী বাসস্থান গড়ে দেওয়া হয়। কোচবিহার জেলার কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী সম্পাদক অনন্ত রয় প্রতিবাদ করে এদের হেনস্তা রোখার আবেদন জানান।