তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'ওটিটি প্লাটফর্মের সাথে গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো সম্পর্ক নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব না পড়ে, না বুঝে এটি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তা 'সবজান্তা মাতব্বর' বা 'মিস্টার ওয়াইজ ক্র্যাকার' এর মতো।'
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে গণযোগাযোগ অধিদফতর আয়োজিত জেলা তথ্য অফিসার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমসাময়িক প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব শনিবার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওভার দ্য টপ (ওটিটি) কনটেন্ট ভিত্তিক পরিষেবা দেওয়া এবং পরিচালনা নীতিমালা ২০২১ খসড়াকে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধের পাঁয়তারা বলে বর্ণনা করেন। এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া যেমন বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের তথ্য পাচার হয়ে যাবে, ফখরুল সাহেবের বক্তব্যটাও ঠিক সে রকম। যেমন নেত্রী, তেমন সচিব। উনি যেভাবে কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে যে, উনি পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বের পাশাপাশি ভেতরে ভেতরে নাটক-সিনেমা নিয়েও বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। কিন্তু তিনি ওটিটি প্লাটফর্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যমের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছেন।'
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ওটিটি প্লাটফর্ম কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গণমাধ্যম নয়, ওটিটি প্লাটফর্ম এমন একটা প্লাটফর্ম যেখানে নাটক-সিনেমা এবং এ ধরনের এন্টারটেইনমেন্ট কনটেন্ট আপলোড করা হয়। বাংলাদেশে চরকীসহ এ ধরণের কিছু প্লাটফর্ম আছে। অন্যান্য দেশেরও কিছু ওটিটি প্লাটফর্ম যেমন জি-ফাইভ, হৈচৈ এগুলো দেখা যায়।
ড. হাছান বলেন, 'এই প্লাটফর্মে এমন ধরণের কনটেন্ট আপলোড করা হচ্ছিল যেগুলো আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধের পরিপন্থি, এমনকি কিছু ছিলো যা প্রায় পর্ণোগ্রাফির কাছাকাছি। এগুলো নিয়ে ইতিপূর্বে বাংলাদেশে অনেক সমালোচনা হয়েছে, গণমাধ্যমেও ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং গণমাধ্যমের অনেকেই এটি নিয়ে একটি নীতিমালা করার তাগিদ দিয়েছেন।'
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত