বাংলাদেশের নদী বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করবে ভারত। একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দীপ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা সফরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান তিনি। ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে’র সঙ্গে বৈঠক করেন সন্দীপ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নদী পথ ব্যবহার করে ভারতের অন্যান্য অংশ এবং বহির্বিশ্ব থেকে ত্রিপুরা সহ উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে খাদ্যশষ্য, ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত আশুগঞ্জ বন্দরকে উন্নিত করা একান্ত দরকার। এ কাজে আর্থিকভাবে সাহায্য করবে ভারত সরকার। তার মতে এই বন্দরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হলে উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির পাশাপাশি বাংলাদেশেরও প্রভূত উন্নতি হবে। ইতোমধ্যেই ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রালয়ের অধীন ওয়াটার, পাওয়ার কনসালটেন্সি সার্ভিস লিমিটেড বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছে বলে জানান ডেপুটি হাইকমিশনার।
তিনি আরও জানান, আশুগঞ্জের পাশাপাশি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বন্দর ব্যবহারের সুযোগও ভারতকে দিতে চায় বাংলাদেশ সরকার। দুই দেশই নিজেদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ থেকে ভারী যন্ত্রপাতি, শষ্য আমদানির সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণে ৭০ কোটি রুপি খরচ করবে ভারত। এছাড়াও বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য উত্তরপূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে তাদের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।
ভারতের তরফে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রসঙ্গে এই কূটনীতিক বলেন, ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকার তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (পিজিসিআইএল) দক্ষিণ ত্রিপুরার সূর্যমণিনগর থেকে পূর্ব বাংলাদেশের কুমিল্লা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য তার বসানোর কাজ করবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ অক্টোবর ২০১৪/আহমেদ