বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করবো, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না। এ বিষয়ে দেশের পুলিশ কর্মকর্তারা আরও সতর্ক হবেন বলে আশা করি। আর বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা চলমান রাখতে আগামী নির্বাচনে গণতান্ত্রিকভাবে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ’।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এবং ফ্রেডরিক-অ্যাবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ আয়োজনে তিনি এ প্রত্যাশা জানান।
জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবন পরিচালনামূলক সেবাগুলোর সুযোগ অব্যাহত রাখতে জাপান সরকার কাজ করছে। জাপান তাদের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে এবং আইনি ও সম্প্রদায়-ভিত্তিক সুরক্ষা দান, স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও স্যানিটেশন, পুষ্টি সহায়তা এবং ত্রাণের মতো মূল গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলোর ওপর দৃষ্টি দেবে। এটি ভাসানচরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবিকার সুযোগ উন্নত করবে এবং কক্সবাজারে তাদের নিরাপত্তা বাড়াবে। এ বিষয়ে জাপানের প্রাইভেট কোম্পানিও কাজ করছে। আমি মনে করি এই মানুষগুলোর জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোরও আরও এগিয়ে আসা উচিত’।
ইতো নাওকি বলেন, ‘জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে আরও অনেক অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন পড়বে। এই উন্নয়নের যাত্রায় জাপান-জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। গুণগত অবকাঠামো উন্নয়নে জাপান সহায়তা অব্যাহত রাখবে, বিশেষত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বাণিজ্যিক করিডরে। আমরা এই মহা-উৎসবে আসতে পেরে আনন্দিত’।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা