রবিবার, ৭ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

এবার থেকে জাতীয়ভাবে পালিত হবে ৭ই মার্চ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

৭ই মার্চ বাঙালির ইতিহাসের একটি অনন্য দিন। জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৭ই মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আয়োজন।

এতে আরও থাকছে আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য, বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন নিয়ে নাটক মঞ্চায়ন,  বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র, চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সব জেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার (বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও নৃত্য) আয়োজন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বিভিন্ন স্থানে আতশবাজি ইত্যাদি।

গতকাল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব জানানো হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফীন, একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রেক্ষাপটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তাৎপর্য অনেক গভীর। দিনটিকে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস হিসেবে ঘোষণা এবং দিবসটিকে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হিসেবে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এই আয়োজন উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সংযুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক  সম্মেলন কেন্দ্রে ৭ই মার্চ বিকাল ৩টায় আয়োজন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উদীচীর প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ : ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ ছিল যশোর টাউন হল মাঠে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনের শেষ দিনে বাউল গানের আসরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হত্যাকান্ড চালায় উগ্রবাদীরা। এতে প্রাণ হারায় ১০ জন শিল্পী-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। ২২ বছর কেটে গেলেও সেই হামলার বিচার এখনো হয়নি। আর বিচারহীনতার ২২ বছর পালনে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশের আয়োজন করেছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।

গতকাল বিকালে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বক্তৃতা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সঙ্গীতা ইমামসহ উদীচীর নেতৃবৃন্দ।

ওই হত্যাকান্ডে নিহতদের স্মরণে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং আলোক প্রজ্বালন করা হয়। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পর্বে পরিবেশিত হয় দলীয় ও একক সংগীত, আবৃত্তি এবং নৃত্য।

সর্বশেষ খবর