শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

এক সংস্থার অধীনে নজরদারি চান রেস্তোরাঁ মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের রেস্তোরাঁ খাতকে মনিটরিং করে সরকারের ১২টি সংস্থা। এতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমন্বয়হীনতা, অযাচিত হস্তক্ষেপ ও বিড়ম্বনায় পড়ছেন রেস্তোরাঁ মালিকরা। সে জন্য অবিলম্বে টাস্কফোর্স বা কমিশন গঠন করে একটি সংস্থার অধীনে রেস্তোরাঁগুলোকে দেখভাল করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান। লিখিত বক্তব্যে সমিতির মহাসচিব বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এতগুলো সংস্থার দ্বারা যে অরাজকতা চলছে, কারও কোনো ভ্রƒক্ষেপ নেই। অবিলম্বে টাস্কফোর্স বা কমিশন গঠন করে একটি সংস্থার অধীনে রেস্তোরাঁগুলোকে আনতে হবে।

 না হলে আমরা আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে সমস্ত রেস্তোরাঁর চাবি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করব।

 প্রতিটা অধিদফতর বিক্ষিপ্তভাবে তাদের অযাচিত হস্তক্ষেপ করে।

কোনো ম্যাজিস্ট্রেট এলে ক্ষোভ ঝাড়েন রেস্তোরাঁ মালিকদের ওপর। সবাই রেস্তোরাঁকে নেতিবাচক চোখে দেখে। পান থেকে চুন খসলেই বিশাল শাস্তি দেয়। কোনো বিশেষজ্ঞ ছাড়াই, কোনো অভিজ্ঞ লোক ছাড়াই যে যেভাবে পারছে জরিমানার নামে ভীতি দেখিয়ে আমাদের ব্যবসা নষ্ট করছে। তারা যেন রেস্তোরাঁকে জরিমানা করার জন্য অতি উৎসাহী।

রমজানে আরও বড় খড়গ নামার আশঙ্কা প্রকাশ করে ইমরান হাসান বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে প্রতিবারের মতো এবারও রমজানে বিশাল খড়গ নেমে আসবে। আমরা পবিত্রতা রক্ষায় ইফতারি, সাহরিসহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য নিরাপদ করার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকব। এর পরও বিভিন্ন আইনের মারপ্যাঁচে ফেলে আমাদের বিপদের মুখে ঠেলে দেবেন বিভিন্ন সংস্থার মোবাইল কোর্ট। যেখানে-সেখানে রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হবে। আমাদের সেক্টরের ৯৫ শতাংশ কর্মী অদক্ষ, স্বল্পশিক্ষিত। তাদের আগে ট্রেনিং দিন। আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন হিসেবে এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) দিন। এভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোনো দিনই খাদ্যের মান ভালো করা যাবে না। জরিমানা করা, হাতে হাতকড়া লাগানো কোনো সমাধান নয়। রেস্তোরাঁ খাতের এ অবস্থা দুরভিসন্ধিমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সরকারকে বিপদে ফেলার ষড়যন্ত্র। সরকার ও মাঠপর্যায়ের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করে তৃতীয় পক্ষ সুবিধা গ্রহণ করছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভ্যাট-ট্যাক্সের নামে অত্যাচার-অনাচার সবকিছু মিলিয়ে এখন আমাদের রেস্তোরাঁ বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই।

এক প্রশ্নে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ওসমান গনি বলেন, আমাদের যদি কোনো ভুল থাকে তবে সেটা সংশোধন করুন। সময় দিন সবকিছু ঠিকভাবে চালানোর। কিন্তু দীর্ঘদিনের এসব ব্যবসা রাস্তায় নামিয়ে দেবেন না। আমরা হয়রানি-প্রতিবন্ধকতা ছাড়া সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খানসহ অন্যরা।

সর্বশেষ খবর