বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় বন্ধুদের নিয়ে বাবাকে খুন

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় নিজ ছেলের ভাড়া করা বন্ধুদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পোলট্রি ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ। মাত্র ২০ হাজার টাকায় নিহতের ছেলে তরিকুল ইসলামের পাঁচ বন্ধু এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গোয়ালাকান্দা ইউনিয়নের কুতুবপুরে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১৪-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয়।

তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাতে র‌্যাবের একটি দল ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিহত আবদুল আজিজের ছেলের বন্ধু বিজয় কর্মকার (১৯), তরিকুল ইসলাম (১৮) ও আজাহার মিয়াকে (৩৫) আটক করে। এর আগে আজিজের ছেলে তরিকুল ইসলাম বিপ্লবকে (২২) আটক করে পূর্বধলা থানা পুলিশ।

মেজর আখের জানান, মাদক সেবন থেকে বিরত রাখতে আজিজ ছেলেকে প্রায়ই শাসন করতে গিয়ে ধমকসহ মারধর করতেন। এতে বিপ্লব সংশোধন না হয়ে উল্টো বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় শ্যামগঞ্জ বাজারে একটি দোকানের পেছনে বসে বিপ্লব তার বন্ধু বিজয়, রানা, আজাহার, রাসেল ও সাধনকে নগদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করেন। এ ছাড়া দুটি চায়নিজ কুড়াল কেনার জন্য দেড় হাজার টাকা দেন।

আসামিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিপ্লব তার বাবাকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘বাবা আমাকে পুলিশে ধরেছে ছাড়িয়ে নিয়া যাও।’ আবদুল আজিজ থানায় যাওয়ার পথে কুতুবপুরে পৌঁছালে বিপ্লব ও আজাহার পেছন থেকে তার হাত ধরেন আর রাসেল ও সাধন গামছা গলায় পেঁচিয়ে দুই দিক থেকে টেনে ধরেন। পরে বিজয় ও রানা চায়নিজ কুড়াল দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপান। ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিপ্লব নিজেই তার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে পথেই মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরদিন পূর্বধলা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী বকুল বেগম। আটকদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর