নৌকা প্রতীক বাঙালি জাতিকে একবার করেছে স্বৈরাচারমুক্ত, দ্বিতীয়বার করেছে জাতির জন্য স্বাধীনতা অর্জন। এবার জাতির সেই স্বাধীনতা রক্ষা পাবে কিনা তাও নির্ধারণ করবে এই নৌকা প্রতীক।
১৯৫৪ সালে হক-ভাষানীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল, সেইবারের নির্বাচনেও হক-ভাষানীর প্রতীক ছিল নৌকা। দেশের মানুষ সেই নৌকায় ভোট দিয়ে মুসলিম লীগের স্বৈরাচারী শাসন ধ্বংস করেছিল। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে। স্বাধীনতার যুদ্ধ এই নৌকা প্রতীকের জয়ের ফলে শুরু হওয়া সম্ভব হয়।
আজ আবার জাতি ৭০ সালের মতো এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। স্বাধীনতার শত্রুরা, ৭১-এর ঘাতকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা স্বাধীনতার পতাকা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য। এবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনপ্রতিরোধ গড়ে উঠেছে। এবারও এই যুদ্ধের প্রতীক নৌকা এবং এই যুদ্ধের কান্ডারি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই যুদ্ধে জয়পরাজয়ের উপর নির্ভর করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রব্যবস্থা টিকে থাকবে কিনা। আমরা আবেদন জানাই দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছে এবারেও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশের অস্তিত্ব ও স্বাধীনতাকে রক্ষা করুন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী রাজনীতিক সুলতান মাহমুদ শরিফ, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, জার্মান প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ড. অনুপম রায়, সুইডেন প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী জামিল মোস্তফা, ইতালি প্রবাসী মানবাধিকার ড. ছলিমুল্লাহ শেখ, গ্রিকল্যান্ড প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ড. আফতাব হোসেন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, অধ্যাপক ড. আবদুর রাজ্জক, গামা আবদুল কাদির, নিউজারল্যান্ড প্রবাসী লেখক প্রকৌশলী শরিফ ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক ড. নূরুন্নবী, লেখক ড. মহসিন আলী, লেখক বেলাল বেগ, লেখক ড. জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, লেখক পুরবী বসু, লেখক হাসান ফেরদৌস, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ মোহাম্মদউল্লাহ, লেখক ড. বামন দাশ বসু, সাংবাদিক ও লেখক শিব্বীর আহমেদ, লেখক ফকির ইলিয়াস, কানাডা প্রবাসী শিক্ষাবিদ ড. বোরহান কবির খান, রাশিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী ড. এম পাটোয়ারী বাহার, জাপান প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী প্রবীর বিকাশ সরকার ও সজল বড়ুয়া, সাউথ কোরিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী বিজন কুমার সরকার প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন