১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৯:৩১

নূর চৌধুরীর বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদন মঞ্জুর

পুনঃসিদ্ধান্তের জন্য পাঠাতে বলেছে ফেডারেল কোর্ট

অনলাইন ডেস্ক

নূর চৌধুরীর বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদন মঞ্জুর

নূর চৌধুরী

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কর্নেল অব. নূর চৌধুরীর তথ্য প্রকাশ সম্পর্কিত কানাডা সরকারের সিদ্ধান্তটি ফেরত পাঠিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে আদেশ দিয়েছেন ফেডারেল কোর্ট।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত নূর চৌধুরীর কানাডায় অবস্থান এবং তাকে দেশ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ‘বহিষ্কার পূর্ব ঝুঁকির মূল্যায়নের’ সর্বশেষ তথ্য জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু কানাডা সরকার  বাংলাদেশের এই অনুরোধ প্রত্যাখান করলে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন বাদী হয়ে ফেডারেল কোর্টে জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন করে। 

হাইকমিশনের দায়ের করা সেই জুডিশিয়াল রিভিউ আবেদনের উপর শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি গ্রহণের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

ফেডারেল কোর্টের রায় সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে ফেডারেল কোর্টের একজন কর্মকর্তা জানান, আদালতের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে। ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় নতুন কোনো কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের আবেদনটি পর্যালোচনা এবং সিদ্ধান্তের দায়িত্ব দেবে। বাংলাদেশের চাহিদা মতো কানাডা সরকার তথ্য প্রকাশ করবে কী না সেটি নির্ভর করবে নতুন কর্মকর্তার পর্যালোচনা এবং সিদ্ধান্তের উপর।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয়ান আইনজীবী ব্যারিস্টার ওবায়দুল হক বলেন, ফেডারেল  কোর্টে বাংলাদেশের জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন গৃহীত হওয়ায় নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আইনি লড়াইয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।

রায়ের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, নূর চৌধুরী সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের আবেদনটি এখন নতুন কোনো কর্মকর্তা বিবেচনা করবেন। তিনি নিশ্চয়ই ফেডারেল কোর্টের বিচারকের পর্যবেক্ষণগুলো বিবেচনায় রেখেই তার সিদ্ধান্তের দিকে এগিয়ে যাবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত নূর চৌধুরী পর্যটক হিসেবে সস্ত্রীক কানাডায় গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চান। ফেডারেল কোর্টের রায়ে জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলা হয়, অরাজনৈতিক জঘন্য অপরাধের দায়ে ২০০২ সালে নূর চৌধুরী এবং তার স্ত্রী শরণার্থী হিসেবে প্রোটেকশন পাওয়ার যোগ্যতা হারায় এবং ২০০৬ সালে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ হয়। ২০০৯ সালে নুর চৌধুরী ‘বহিষ্কার পূর্ববর্তী ঝুঁকি পর্যালোচনার’ আবেদন জানায়। তারপর থেকেই বাংলাদেশ নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে কানাডা সরকারের সাথে দেনদরবার চালিয়ে যাচ্ছে।

জুডিশিয়াল রিভিউর আবেদন নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে আদালত জনস্বার্থকে প্রাধ্যান্য দিয়ে বলেছেন, নূর চৌধুরী সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ পেলে তিনি (নূর চৌধুরী) ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন- এই বক্তব্যের উপর ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল ছিল। অপরদিকে বাংলাদেশ তথ্য প্রকাশে জনস্বার্থের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। ইমিগ্রেশন মন্ত্রণালয় ব্যক্তির গোপনীয়তার বিপরীতে এই সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের জনস্বার্থের বিষয়টি সঠিকভাবে বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। 

সূত্র: নতুনদেশ ডটকম 

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর