শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন রফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন রফিক

এক সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ‘বিজ্ঞাপন’ ধরা হতো মোহাম্মদ আশরাফুলকে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত হয়ে এখন তিনি নিষিদ্ধ। অবশ্য ১৬ আগস্ট ওঠে যাচ্ছে তার নিষেধাজ্ঞা। আশরাফুল থাকাকালীণই আরও একজন তারকা ক্রিকেটার ছিলেন। যার বোলিংকে সমীহ করত প্রতিপক্ষ দলগুলো। তিনি বাঁ হাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিক। যিনি বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক গড়েছিলেন। সেই রফিক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন ২০০৮ সালে। এরপর অবশ্য ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসায় ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচিং করিয়েছেন। নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন ক্রিকেটারদের সঙ্গে। এই প্রথম বিসিবির সঙ্গে কাজ করবেন। আগামীকাল থেকে বিসিবি হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) স্কোয়াডের বোলিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করবেন রফিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিভাবে সফল হওয়া যায়, নিজের সেই অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করবেন পরবর্তী প্রজন্মের সঙ্গে।

এইচপিকে বলা হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপ লাইন। এখান থেকেই জাতীয় দলে জায়গা করে নিবে ক্রিকেটাররা। এজন্য বিসিবিও বেশ আটসাট বেঁধে জাতীয় দলে ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের নিয়ে গঠন করেছে এইচপি স্কোয়াড। এইচপির মূল কোচ সাইমন হেলমেট। দেশি কোচদের মধো কাজ করছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ মিজানুর রহমান বাবুল, ওয়াহিদুল গনি ও মোহাম্মদ রফিক। ওয়াহিদুল গনি ও রফিক কাজ করবেন ১২ স্পিনারকে নিয়ে। ক্রিকেটারদের নিয়ে কি কাজ করবেন, উত্তরে রফিক বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটারদের সমস্যা হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারে না। এটা যাতে না হয়, সেটা নিয়ে আমি কাজ করব। আমি তাদের আমার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করব। তাদের বুঝাব সাফল্য পেতে কি করতে হয়।’

নিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সফল ছিলেন বলেই নিজের অভিজ্ঞতাগুলো জানাবেন। এতে দেশের ক্রিকেটের উপকার হবে। কিন্তু কতদিন তিনি কাজ করবেন? বিসিবি তাকে এসব কিছুই জানায়নি, ‘কতদিন কাজ করব এটা বিষয় নয়। রবিবার থেকে কাজ শুরু করব এটাই জানি। কতদিনের জন্য করব সেটা বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছে আমি কাজ করতে চাইছি। আমি চাইছি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের কিছু শেখাতে।’ ভবিষ্যতের ক্রিকেটারদের শেখানোর প্রবল আগ্রহ রফিকের। কিন্তু তাদের সম্পর্কে পরিস্কার কোনো ধারনা নেই। এটাকে কোনো সমস্যা মনে করেন না, ‘সত্যি বলতে জুনিয়র ক্রিকেটারদের সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। কিন্তু সেটা আমার কোনো সমস্যা নয়। সবারই ব্যাসিক ভালো। শুধু ভুলগুলো শুধরে তাদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি করে দিব।’ বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সমস্যা চাকিং বোলিং। এ নিয়ে কাজও করছে বিসিবির রিভিউ কমিটি। এ সমস্যার কথা ভালো করেই জানেন রফিক, ‘সমস্যার কথাটা জানি। তাই ফাহিম ভাইকে বলেছি ৩-৪টি ক্যামেরা দিতে। সে সব দিয়ে তাদের বোলিং অ্যাকশন দেখব। সমস্যা মনে হলে শুধরে দিব।’

এরমধ্যেই ৫৬ ক্রিকেটার নিয়ে এইচপির ক্যাম্প শুরু হয়ে গেছে। এখান থেকেই দেশি ও বিদেশি কোচরা ঘষে মেঝে ঠিক করে রাখবেন ভবিষ্যতের ক্রিকেটার। শক্তিশালী করবেন জাতীয় দলে প্রবেশের পাইপ লাইন।

সর্বশেষ খবর