শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
উদ্বোধনী জুটিতে ৬০ রান

দুর্দান্ত শুরু হতাশায় শেষ!

রোহিতের শততম ম্যাচ

আসিফ ইকবাল

দুর্দান্ত শুরু হতাশায় শেষ!

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নাঈম শেখ ও লিটন কুমার দাস। তাদের জুটিতে আসে ৬০ রান। এরপরও গতকাল রাজকোটে ১৫৩ রানে আটকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। -এএফপি

স্বপ্ন পূরণের ম্যাচ। জিতলেই লেখা হবে নতুন ইতিহাস। স্বপ্ন পূরণ ও ইতিহাস লেখার ম্যাচে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদরা। পারেননি বলাটা একদিকে যেমন সত্য, তেমনি টাইগারদের স্বপ্ন পূরণে হিমালয় উচ্চতার বাধা হয়েছিলেন রোহিত শর্মা। টি-২০ ক্যারিয়ারে শততম ম্যাচ খেলতে নেমে ভারতীয় অধিনায়ক রাজকোটকে রাঙিয়েছেন আলোকিত ব্যাটিংয়ে। টাইগার বোলারদের সাধারণ মানে নামিয়ে ২৬ বল হাতে রেখে শুধু ৮ উইকেটের বড় জয়ই উপহার দেননি, সিরিজেও সমতা এনেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। স্বাগতিকদের এ জয়ে অবশ্য সিরিজ জেতার স্বপ্ন ভেস্তে যায়নি একেবারে। ১০ নভেম্বর রবিবার নাগপুরে তৃতীয় ম্যাচ জিতলেই ভারতের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো স্বপ্ন পূরণ হবে টাইগারদের। একই সমীকরণ স্বাগতিকদেরও।

দিল্লির দম বন্ধ করা বায়ুদূষণকে জয় করেছিলেন মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, নাইম শেখরা। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মামুলি ১৪৮ রান টপকে গিয়েছিল মাহমুদুল্লাহ বাহিনী ৭ উইকেট হাতে রেখে। এটি ছিল আবার টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসের হাজারতম ম্যাচ। গতকালের ম্যাচটি রোহিতের ১০০ নম্বর ম্যাচ। চলতি বছরটা দারুণ কাটাচ্ছেন ভারতীয় অধিনায়ক। সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে একটি ডাবলসহ তিনটি সেঞ্চুরি করেন রোহিত। ফর্মের শিখরে থাকা রোহিত তুলাধোনা করেছেন মুস্তাফিজ, আল-আমিনদের। ৮৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংসটি খেলেন মাত্র ৪৩ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায়। এর মধ্যে মোসাদ্দেক সৈকতের ওভারে ছিল টানা ৩ ছক্কা। ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি খেলে রোহিত এখন টি-২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। ১০০ ম্যাচে তার ৪ সেঞ্চুরি ও ১৮ হাফ সেঞ্চুরিতে রান ২৫৩৭। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান তামিম ইকবালের, ১৬১৩।

দিল্লির মতো রাজকোটের ম্যাচটি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল। ঘূর্ণিঝড় ‘মাহা’ আক্রমণে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গুজরাট উপকূল পার হলে ম্যাচ শুরু হতে কোনো সমস্যা হয়নি। সন্দেহের দোলাচালে দুলতে থাকা ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ বাহিনী প্রথমে ব্যাট করে টস হেরে। দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখ ৭.২ ওভারে ৬০ রানের ভিত দেন। লিটন ২১ বলে ২৯ রান করলেও জীবন পান দুবার। এর মধ্যে একবার পরিষ্কার স্টাম্পিং হয়েও বেঁচে যান ভারতীয় উইকেটরক্ষক ঋশাভ পান্থের উইকেট পার হওয়ার আগে বল ধরে ফেলায়। দ্বিতীয়বার জীবন পান রোহিতের ক্যাচ মিসে। নাইম ৩১ বলে ৫ চারে করেন ৩৬ রান। ওয়ান ডাউনে সৌম্য সরকার ৩০ রান করেন ২০ বলে এবং শেষ দিকে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ৩০ রান করেন ২১ বলে। ৪টি ব্যক্তিগত স্কোরের পরও বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতকে কাজে লাগালে স্কোরটা আরও বড় হতো বলে মনে করেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘উইকেট ছিল ব্যাটিংসহায়ক। আমাদের আরও ২৫-৩০ রান বেশি করা উচিত ছিল।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : ১৫৩/৬ (২০ ওভার) (নাঈম ৩৬, সৌম্য ৩০, মাহমুদুল্লাহ ৩০; চাহাল ২/২৮

ভারত : ১৫৪/২ (১৫.৪ ওভার) (রোহিত ৮৫; আমিনুল ২/২৯

ফল : ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।

সর্বশেষ খবর