শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

কঠোর জৈব বলয়ে দুই দলের ক্রিকেটাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অস্ট্রেলিয়া এর আগে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সফরে এসেছে। প্রতিবারই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছে দলটিকে। সর্বশেষ দলটি ঢাকায় এসেছিল ২০১৭ সালে। সেবার বাংলাদেশ সরকার ভিভিআইপি প্রোটোকল দেয়। প্রথমবারের মতো বাইলেটারাল ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলতে গতকাল বিকালে ঢাকায় পা রাখেন জাস্টিন ল্যাঙ্গারের শিষ্যরা। বিমানবন্দরে পা রেখেই দলটিকে স্মরণকালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে ‘টিম হোটেল’ ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই প্রথম কোনো দলকে বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশন করানো হয়। করোনাকালের মহামারীতে ঘরের মাটিতে বিসিবির এটা তৃতীয় আসর। আগের দুই আসরেও জৈব বলয় সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু এবারের জৈব বলয় সুরক্ষা ব্যবস্থা কঠোর থেকে কঠোরতর।     

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জৈব বলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জৈব বলয় সুরক্ষা পলিসি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ম্যাচের আম্পায়ার, স্কোরার, ম্যাচ রেফারিরা ১০ দিন আগে থেকেই হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। গতকাল থেকে দুই দলের ক্রিকেটারসহ ১২০ জনের কোয়ারেন্টাইন শুরু হয়েছে।

হোটেল ব্যবস্থাপনায় এবার আনা হয়েছে বড় পরিবর্তন। দুই দলের ক্রিকেটার এবং ম্যাচ সংশ্লিষ্ট স্টাফরা যে ফ্লোরগুলোতে থাকবেন, তার উপর ও নিচ তলায় কারো উপস্থিতি থাকছে না। শুধু তাই নয়, গতকাল থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত কোনো অতিথিও থাকতে পারবে না হোটেলে। এতো গেল হোটেলের সুরক্ষা বলয়। এবার মাঠেরও সুরক্ষা বলয় কঠোর। ম্যাচ বা অনুশীলনের সময় ক্রিকেটারদের কাছাকাছিও যেতে পারবেন না মাঠকর্মীরা। শুধু তাই নয়, অনেকই আগে মাঠ প্রস্তুতি করে রাখতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের সুরক্ষা বলয়ের সঙ্গে এবারের পার্থক্য নিয়ে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘এবার তিনটি জায়গায় মূল পার্থক্য। হোটেল থাকছে এক্সক্লুসিভ। অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনসহ এয়ারপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়। ওরা টারমার্ক থেকেই গাড়িতে উঠবে। এয়ারপোর্টের ভিতরে ঢোকা এড়ানো হচ্ছে। এই দুটি হচ্ছে মূল পরিবর্তন। এছাড়া আরও কিছু পরিবর্তন আছে। যেগুলো অলরেডি হচ্ছে। যেমন, সুরক্ষা বলয়ে যারা থাকবে, তাদের সবার ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন চলছে।’ মাঠকর্মীরাও বায়ো বাবলে থাকবে। মাঠেও যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। মাঠ প্রস্তুতি করে ম্যাচ শুরুর কমপক্ষে দেড়ঘণ্টা আগে মাঠ ছেড়ে দিতে হবে মাঠ-কর্মীদের। বৃষ্টির সময় মাঠে প্রবেশ করবে বিশেষ ব্যবস্থায়। ক্রিকেটারদের ধারে-কাছে ভিড়তে পারবে না কেউ।

সকাল সোয়া ৯টায় টাইগার ক্রিকেটাররা হারারেতে থেকে লন্ডন-দোহা হয়ে ঢাকায় পা রাখেন। বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যান টিম হোটেলে। বিকালে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের ক্রিকেটাররাই ৩ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এরপর ১ আগস্ট রবিবার থেকে অনুশীলন করবেন। সিরিজের ম্যাচ পাঁচটি যথাক্রমে ৩, ৪, ৬, ৭ ও ৯ আগস্ট। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। খেলাগুলো হবে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।

সর্বশেষ খবর