অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে দেশের ফুটবলে টালমাটাল অবস্থা। এর মধ্যে আবার নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ঘিরে ফেডারেশনের ভিতরে বিতর্কের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হবে এটা নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর। কিন্তু শুরুর আগে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। বলা হচ্ছে প্রথমবারের মতো আয়োজিত লিগে চার ক্লাব অংশ নেবে। কারা খেলবে তার নাম প্রকাশ হয়নি। ভেন্যুও অনিশ্চিত। অথচ এরই মধ্যে টুর্নামেন্টের ট্রফি ও বলের উন্মোচন হয়েছে। এ জাতীয় টুর্নামেন্টে অবশ্যই নির্বাহী কমিটির অনুমতি লাগে। কিন্তু নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ তা প্রয়োজন মনে করেননি। নির্বাহী কমিটির সভা হয় ২ মে। যা বেশ কিছুদিন আগে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বাফুফে থেকে জানানো হয়েছিল।
প্রশ্ন উঠেছে সভার ঠিক একদিন আগে হোটেলে ট্রফি ও যে বল দিয়ে লিগ খেলা হবে তা উন্মোচন করল কেন। এটা কি নির্বাহী কর্মকর্তাদের অপমান করা হলো না। ২ মে সভায় যখন নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অনুমোদনের প্রসঙ্গ ওঠে তখন অনেক সদস্যই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ নিয়ে যখন অনুষ্ঠানই হয়ে গেছে তখন আবার অনুমতির প্রয়োজন কেন? যাক তারপরও লিগের অনুমতি মিলেছে। কিন্তু এ লিগ আদৌ মাঠে গড়াবে কি না সংশয় থেকে গেছে। কেননা চার দল হলেও নারী প্রিমিয়ার লিগে যেসব খেলোয়াড় অংশ নিয়ে থাকে তাদের খেলোয়াড়ই তো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে বিভিন্ন ক্লাবে খেলবে। এখানে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে কি? এক শীর্ষ ক্লাবের কর্মকর্তা জানালেন এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার ভেন্যু কি চূড়ান্ত করা হয়েছে? কমলাপুর অনুপযোগী টার্ফে খেলা সম্ভব না। জানা গেছে টার্গেট বসুন্ধরা কিংসের ভেন্যু কিংস অ্যারিনা। এই ব্যাপারে কোনো কি আলাপ করেছেন কিরণ। বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আমরা কোনো চিঠি পাইনি। পেলে মন্তব্য করতে পারতাম। বাস্তবে কিংস অ্যারিনার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের আয়োজনের সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা যায়। কেননা এই মাঠে পেশাদার লিগের বসুন্ধরা কিংসের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। ঢাকার বাইরে আয়োজন তাও সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কমলাপুরকেই যদি বেছে নেয় ভিন্ন কথা। আসলে শুরুর আগেই ফ্র্যাঞ্চাইজি নারী লিগ ঘিরে হযবরল অবস্থা বাফুফের।